বুধবার বিকালে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন তার স্ত্রী ফেরদৌসী শওকত।
ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি শওকত মাহমুদকে গত বছরের ১৮ আগস্ট নাশকতার এক মামলায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার বিরেুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে ৩১টি মামলা রয়েছে।
গাজীপুর প্রতিনিধি জানান, সর্বশেষ গত ১৪ জুন নাশকতার দুই মামলায় হাই কোর্ট থেকে জামিন পান শওকত মাহমুদ।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের হাই কোর্ট বেঞ্চ তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
কাশিমপুর কারাগার-২ এর জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শওকত মাহমুদের জামিনের কাগজপত্র কাশিমপুর কারাগার-২ এ পৌঁছায়। তা যাচাই-বাছাই শেষে বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। এসময় তার স্ত্রী ফেরদৌসী উপস্থিত ছিলেন।
শওকত মাহমুদ গ্রেপ্তার হওয়ার পর ২২ আগস্ট তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে এবং সেখান থেকে ১২ সেপ্টেম্বর কাশিমপুরে পাঠানো হয়।
সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময় যাত্রবাড়ী ও বাড্ডা থানায় দুটি মামলায় ২০১৫ সালের ১৮ আগস্ট রাজধানীর পান্থপথের সামারাই কনভেনশন সেন্টারে একটি অনুষ্ঠানের আগে সেখানকার ফটক থেকে তাকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ।
মগবাজার এলাকার সেলিব্রেশন কমিউনিটি সেন্টারের সামনে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে রমনা থানায় দায়ের মামলায় তাকে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত।