শুক্রবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে এ কথা জানান বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিভভী।
তিনি বলেন, “ইউপি নির্বাচনে মনোনয়নের ক্ষেত্রে ইউপি বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক এবং উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক- এই পাঁচ জন মিলে প্রার্থীর নাম অনুমোদন করার জন্য কেন্দ্রে সুপারিশ করবে।”
তবে দলের পক্ষে কে অনুমোদন প্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ হবেন, তা এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান রিজভী।
নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন প্রথম বারের মতো রাজনৈতিক দল ও তাদের প্রতীকে অংশগ্রহণের সুযোগ রেখে ২২ মার্চ থেকে সারাদেশে ইউনিয়ন পরিষদের ভোটের তফসিল ঘোষণা করে।
মোট ছয় ধাপে ৪ হাজার ২৭৯ ইউনিয়নে স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচন হবে এবার। প্রথম ধাপে ৭৫২ ইউপির ভোট হবে ২২ মার্চ।
এরপর ৩১ মার্চ ৭১০টি ইউপি, ২৩ এপ্রিল ৭১১টি ইউপি, ৭ মে ৭২৮টি ইউপি, ২৮ মে ৭১৪টি ইউপি এবং ৪ জুন ৬৬০টি ইউপিতে ভোট হবে।
শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, “দেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নির্বাসনে। সারাদেশে ভয়াবহ দমন পীড়ন ও ভোটারদের ভোট প্রদানের অধিকার কেড়ে নেওয়ার আশঙ্কা থাকলেও সেই ক্ষুদ্র পরিসর সম্প্রসারিত করার আন্দোলন হিসেবে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে।”
দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচন সমাজে সংঘাত ছড়াবে বলে মনে করেন রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, “গণতন্ত্রের পথ চলাকে বিপথে চালিত করার জন্যই সরকারের মদদে নির্বাচন কমিশন এই অযৌক্তিক ও অসময়োচিত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
বিএনপির জাতীয় কাউন্সিলের দুই দিন আগে ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে ‘অশুভ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ আখ্যায়িত করে রিজভী বলেন, “একটি বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত করা এক ব্যাপক কর্মযজ্ঞ বিষয়। নির্বাচন পরিচালনাও এক ব্যাপক কর্মকাণ্ড।
“উভয় বিষয়ে দলের নেতা-কর্মীরা ব্যস্ত থাকবে। দলের কাউন্সিলের পরের দিন পৌরসভা ও ২দিন পর ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠান করা হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আমরা মনে করি।”
সংবাদ সম্মেলনের রিজভীর পাশে ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা নাজিম উদ্দিন আলম, সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, শিরিন সুলতানা, আবুল কালাম আজাদ, আবদুস সাত্তার পাটোয়ারি প্রমুখ।