একুশে অগাস্ট মামলায় নতুনদের সাক্ষ্যগ্রহণ মঙ্গলবার

একুশে অগাস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে সাড়া দিয়ে অভিযোগপত্রের বাইরে আরও ২০ জনের সাক্ষ্য নেবে আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Feb 2016, 03:47 PM
Updated : 8 Feb 2016, 04:57 PM

ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন আসামিপক্ষের আপত্তির মুখে সোমবার রাষ্ট্রপক্ষের এ আবেদনটি মঞ্জুর করেন।

ট্রাইব্যুনালের সাঁটলিপিকার ওয়ালিউল ইসলাম বাদল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নতুন সাক্ষীদের জবানবন্দি নিতে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন বিচারক গ্রহণ করেছেন।

“তবে নতুন সাক্ষীদের মধ্যে কয়েকজন ট্রাইব্যুনালে হাজির হলেও সোমবারই তাদের সাক্ষ্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।”

মঙ্গলবার নতুন সাক্ষীদের জবানবন্দি শোনার দিন রাখা হয়েছে বলে জানান ওয়ালিউল।

রাষ্ট্রপক্ষের প্রস্তাবিত নতুন সাক্ষীদের মধ্যে অভিযোগপত্রের আসামি মাওলানা আব্দুর রশীদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণকারী হাকিম শাহরিয়ার মাহমুদ আদনান রয়েছেন।  

এছাড়া মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬১ ধারায় জবানবন্দি দিলেও অভিযোগপত্রে সাক্ষী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি এমন তিন ব্যক্তিকেও নতুন সাক্ষীর তালিকায় রাখা হয়েছে।

‘ন্যায় বিচারের স্বার্থে মামলা প্রমাণের জন্য তাদের (২০ জনের) সাক্ষ্য গ্রহণ জরুরি’- বলে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে বলা হয়।

আসামিপক্ষের  আইনজীবীরা সোমবার এ আবেদনের বিরোধিতা করে বক্তব্য রাখেন।

একুশে অগাস্ট গ্রেনেড হামলার দুই মামলায় গত ১ ও ২ ফেব্রুয়ারি ২০৭ নম্বর সাক্ষী ঘটনার সময় মতিঝিল থানায় কর্মরত এস আই মনির হোসেনের সাক্ষ্য নেওয়া শেষ হয়।

এর আগে গত ২৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের নেতা ও সাবেক মন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, হুজি নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ কারাগারে আটক মামলার আসামিদের সোমবারের শুনানিতে আদালতে হাজির করা হয়।

এছাড়া জামিনে থাকা আসামি খালেদা জিয়ার ভাগ্নে সাইফুল ইসলাম ডিউক, সাবেক আইজিপি মো. আশরাফুল হুদা, শহুদুল হক ও খোদা বক্স চৌধুরী এবং মামলার তিন তদন্ত কর্মকর্তা সাবেক বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, সিআইডির সিনিয়র এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান, এএসপি আব্দুর রশীদ ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুল ইসলামও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এ মামলায় জামায়াতে ইসলামীর নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদও আসামি ছিলেন। গত বছর যুদ্ধাপরাধ মামলায় তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।

২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জনসভায় গ্রেনেড হামলায় ২৪ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন কয়েকশ নেতাকর্মী। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও হামলায় আহত হয়ে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান।