গঠনতন্ত্র সংশোধন নিয়ে কাউন্সিলরদের মত চায় বিএনপি

দলের গঠনতন্ত্র সংশোধন করে সময়োপযোগী করতে কাউন্সিলরদের কাছ থেকে বিএনপি প্রস্তাব চেয়েছে বলে জানিয়েছেন যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Feb 2016, 08:16 AM
Updated : 7 Feb 2016, 11:31 AM

রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ১৯ মার্চ বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, কাউন্সিলের আগে তা সংশোধনের সুযোগ রয়েছে; কাউন্সিলররা বিদ্যমান গঠনতন্ত্র সংশোধনের প্রস্তাব করতে পারেন।

“এই প্রস্তাবের জন্য ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের স্বাক্ষরে কাউন্সিলরদের কাছে আমরা চিঠি দিয়েছি।”

যুগ্ম মহাসচিব রিজভী বলেন, কাউন্সিলরদের প্রস্তাব গঠনতন্ত্র সংশোধনের জন্য গঠিত উপকমিটির কাছে যাবে। কমিটি প্রস্তাবগুলো পর্যালোচনা করে চেয়ারপারসনের কাছে সংশোধনের সুপারিশ করবে।

“এরপর গঠনতন্ত্র সংশোধনের যেসব ধাপ আছে, সেভাবে এগিয়ে যাবে।”

২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় বিএনপির সর্বশেষ কাউন্সিলে গঠনতন্ত্র সংশোধন করে জাতীয় কাউন্সিলের মেয়াদ দুই বছর থেকে বাড়িয়ে তিন বছর করার পাশাপাশি তারেক রহমানের জন্য সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদ সৃষ্টি করে এর ক্ষমতা নির্ধারণ করা হয়।

ওই সময় বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সংখ্যা ১৩ থেকে বাড়িয়ে ১৯, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে ৩৮৬ এবং নারী প্রতিনিধির সংখ্যা বৃদ্ধি করে গঠনতন্ত্রে সংশোধনী আনা হয়।

বিএনপির সাংগঠনিক জেলা, উপজেলা, থানা ও পৌরসভা কমিটিসহ মোট কাউন্সিলরের সংখ্যা তিন হাজারের বেশি হবে বলে দলের দপ্তর জানায়।

নয়া পল্টনে দলের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, “জাতীয় কাউন্সিলের জন্য যেসমস্ত উপ-কমিটি গঠন হবে তা চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। দুই-একদিনের মধ্যে আমরা ওইসব কমিটির নামগুলো গণমাধ্যমকে জানাতে পারব।”

২০০৯ সালের কাউন্সিলের আগে প্রস্তুতি কমিটি, গঠনতন্ত্র সংশোধন কমিটি, চেয়ারপারসন নির্বাচন পরিচালনা কমিটি, প্রচার ও প্রকাশনা কমিটি, নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনা কমিটিসহ ১১টি কমিটি করা হয়।

চরফ্যাশনে পৌর নির্বাচন

সংবাদ সম্মেলনে রিজভী অভিযোগ করেন, ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় ভোলার চরফ্যাশন পৌরসভা নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী আনম আমিরুল ইসলাম ও তার সমর্থকদের নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

“আমাদের প্রার্থীকে প্রচার না চালানোর জন্য আওয়ামী ক্যাডাররা নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে, হামলা চালাচ্ছে, যা সম্পূর্ণভাবে নির্বাচনী আচরণবিধি পরিপন্থি।

“বিরোধী দলের প্রার্থীকে প্রচারণায় বাঁধা ও হয়রানি করতে স্থানীয় পুলিশও এর সঙ্গে যোগ দিয়েছে। নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিচ্ছে।”

এসব অভিযোগ প্রার্থীর পক্ষ থেকে স্থানীয় রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানানোর পরও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন রিজভী।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে খায়রুল কবির খোকন, নাজিম উদ্দিন আলম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, আবদুস সালাম আজাদ ও আবদুল লতিফ জনি এসময় উপস্থিত ছিলেন।