ফখরুলের জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন, শুনানি ৩০ নভেম্বর

পল্টন থানার নাশকতার তিন মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে হাই কোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি হবে ৩০ নভেম্বর। 

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Nov 2015, 10:34 AM
Updated : 26 Nov 2015, 10:34 AM

সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন শুনে বিষয়টি ৩০ নভেম্বর নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন।

বিএনপির এই  নেতার জামিন প্রশ্নে আগে দেওয়া রুল নিষ্পত্তি করে ২৪ নভেম্বর বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের বেঞ্চ তিন মাসের জামিন দেয়।

ওই জামিন স্থগিতের জন্য রাষ্ট্রপক্ষ বৃহস্পতিবার চেম্বার আদালতে আবেদন নিয়ে যায়। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যার্টনি জেনারেল মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির। মির্জা ফখরুলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও সগীর হোসেন লিওন।

পরে মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তিন মামলায় জামিন স্থগিত চেয়ে ২৫ নভেম্বর তিনটি আবেদন করা হয়। বৃহস্পতিবার আবেদনগুলো চেম্বার বিচারপতির আদালতে উপস্থাপন করা হলে বিচারক তা নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন।”

এসব আবেদন বিচারাধীন থাকায় ফখরুল এখনই মুক্তি পাচ্ছেন না বলে জানান মোমতাজ।

পল্টন থানার ওই তিন মামলাসহ নাশকতার সাতটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় ছয় মাস কারাগারে থাকার পর হাই কোর্ট মির্জা ফখরুলকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছিল।

রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে গেলে সর্বোচ্চ আদালত গত ২১ জুন পল্টন থানার ওই তিন মামলায় হাই কোর্ট রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ফখরুলের জামিন বহাল রাখে।

জামিনের মেয়াদ শেষে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। এরপর মুক্তি পেয়ে বিদেশে চিকিৎসা করিয়ে দেশে ফেরেন ফখরুল।

এর মধ্যে আত্নসমর্পণ করতে ফখরুলকে আপিল বিভাগের বেঁধে দেওয়া সময় ২ নভেম্বর শেষ হয়। ফখরুল মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করলেও তা নাকচ করে দুই সপ্তাহের মধ্যে হাই কোর্টে রুল শুনানি করতে নির্দেশ দেয় আপিল বিভাগ।

পরদিন ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে বিচারক তা  নাকচ করে এই বিএনপি নেতাকে কারাগারে পাঠান।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তি ঘিরে বিএনপির আন্দোলনের মধ্যে গত ৬ জানুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের পর গ্রেপ্তার হন ফখরুল। এরপর নাশকতার ওই সাত মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।