বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং জামায়াতে ইসলামীর নেতা আলী আহসান মো. মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর রোববার সংসদ অধিবেশনে আলোচনাজুড়ে ছিল তা।
অনির্ধারিত আলোচনায় দাঁড়িয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাবেক প্রতিমন্ত্রী তাজুল বলেন, “দুই যুদ্ধাপরাধী, এই সংসদের সব চেয়ে বেয়াদব সংসদ সদস্য সাকা চৌধুরী ও জামাতের মুজাহিদের ফাঁসি হয়েছে “
মুসলিম লীগ, জাতীয় পার্টি, এনডিপি, বিএনপি থেকে ছয় বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া সালাউদ্দিন কাদের অশালীন বক্তব্যের জন্য বারবার বিতর্কের জন্ম দেন।
একাত্তরে চট্টগ্রাম অঞ্চলের ত্রাস সালাউদ্দিন কাদেরের বাবা ছিলেন মুসলিম লীগ নেতা ফজলুল কাদের চৌধুরী। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর দালাল আইনে গ্রেপ্তার হয়ে বন্দি অবস্থায় মারা যান তিনি।
রোববার প্রধম প্রহরে দুই যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি কার্যকরের সময়ের বর্ণনা দিয়ে তাজুল বলেন, “১৬ কোটি মানুষের ৩২ কোটি চোখ ছিল টেলিভিশনের পর্দায়।
“যে কলঙ্ক তিলক জাতির মাথায় ছিল, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের সরকার তা মুছে গিয়েছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা। তাকে ধন্যবাদ। আমরা বাঙালি জাতি কৃতজ্ঞ।”
তাজুল বলেন, “সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেটা। অপরাধ বুঝতে পেরে তারা প্রাণভিক্ষা চেয়েছে। এর ফলে প্রমাণ হয় নেত্রীর সিদ্ধান্ত কত বাস্তব ছিল। প্রমাণ হয়েছে, তারা সত্যিকারের যুদ্ধাপরাধী ছিল।”
আর কোনো সরকার হলে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচার করত না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
“প্রমাণিত হয়েছে, শেখ হাসিনা অবিসংবাদিত নেত্রী।”