‘সরকার জাতীয় ঐক্য গড়তে চায়, তবে…’

জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িতদের বাদ দিয়ে ‘জাতীয় ঐক্য’ গড়তে সরকার প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

কুষ্টিয়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Oct 2015, 03:19 PM
Updated : 9 Oct 2015, 03:19 PM

শুক্রবার সকালে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার গোলাপনগরে নিজ বাসভবনে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) এই সভাপতি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, “যারা মানুষ পোড়ানোর সঙ্গে, সাম্প্রদায়িকতার সঙ্গে এবং জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত তাদেরকে বাদ দিয়ে সবাইকে নিয়ে সরকার জাতীয় ঐক্য গঠনে এক পায়ে খাড়া আছে।”

মহাজোটের মধ্যদিয়ে সরকার এই জাতীয় ঐক্যের প্রতিফলন করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

কমিউনিস্ট পার্টিসহ বাকি গণতান্ত্রিক দলগুলোকে এই ঐক্যে আসার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “ভয়াবহ জঙ্গিবাদী নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তার দোসর জামায়াতে ইসলামীকে বাংলাদেশের মাটি থেকে এবং রাজনীতি থেকে হটিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত এদেশে আগুনযুদ্ধের সন্ত্রাসী-জঙ্গিবাদীদের মূল উৎপাটন সম্ভব নয়।”

দুই বিদেশি হত্যার প্রেক্ষাপটে জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় সব রাজনৈতিক দল ও সচেতন নাগরিকদের নিয়ে ‘জাতীয় ঐক্য’ গড়ে তুলতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সরকারের প্রতি আহ্বানের প্রেক্ষিতে তার এই বক্তব্য এল।

গত বৃহস্পতিবার দুপুরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ফখরুল বলেন, “আমরা মনে করি, আজকে বড় প্রয়োজন হচ্ছে- সমস্ত পক্ষগুলোকে নিয়ে, সব রাজনৈতিক দল ও সচেতন নাগরিকদের নিয়ে একটা জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা দরকার। এই উদ্যোগ সরকারকেই নিতে হবে।”

মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ করে ইনু বলেন, “গণতন্ত্র ধ্বংসকারী জঙ্গিবাদের প্রধান পৃষ্টপোষক বেগম খালেদা জিয়া কিংবা ফখরুল সাহেবদের মুখে আমরা গণতন্ত্রের কথা শুনতে চাই না।”

‘উনি যদি এতই গণতন্ত্রের চর্চা করেন তবে যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন বাংলা ভাইরা কীভাবে সরকারি প্রশাসনে তাণ্ডব চালিয়েছিল’ বলেও প্রশ্ন রাখেন ইনু।

মন্ত্রী বলেন, “কীভাবে ২১ আগস্টের খুনিদের প্রশাসন রক্ষা করেছিল। এর কৈফিয়ত দিয়ে তারপরে জাতীয় ঐক্যের কথা বলুন।”

দুই বিদেশি নাগরিকের হত্যার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, “বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, এটা গভীর চক্রান্ত। তদন্ত চলছে, কয়েকদিন পরেই দেশবাসী দেখতে পারবে কারা এর সঙ্গে জড়িত।”

গত ২৮ সেপ্টেম্বর গুলশানের কূটনীতিকপাড়ায় চেজারে তাভেল্লা নামে এক ইতালীয় এনজিওকর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এর পাঁচ দিনের মাথায় রংপুরের এক গ্রামে একই কায়দায় খুন হন জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি।

কুনিও হত্যায় জড়িত সন্দেহে পর্যন্ত আট জনকে আটক করা হলেও তাভেল্লা হত্যাকাণ্ডে এখনও কাউকে ধরতে পারেনি পুলিশ।

এসময় কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন, পুলিশ সুপার প্রলয় চিসিম, জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মহসিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম স্বপনসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।