গ্যাস-বিদ্যুতের দাম না কমালে আন্দোলন: বিএনপি

গ্যাস ও বিদ্যুতের বর্ধিত দাম প্রত্যাহার করা না হলে আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছে বিএনপি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 August 2015, 02:40 PM
Updated : 31 August 2015, 02:40 PM

জ্বালানির বাড়তি দাম প্রত্যাহারের দাবিতে সোমবার জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান বলেন, “বিদ্যুৎ ও গ্যাসের যে দাম বাড়ানো হচ্ছে- তা অযৌক্তিক। এটা এখনই প্রত্যাহার করতে হবে।

“বহির্বিশ্বে তেলের দাম শতকরা ৫০/৬০ কম। আমরা বলি, তেল, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম এখনই কমিয়ে আনা হোক। তা না হলে বিএনপি ও বিশ দলীয় জোট জনগণকে নিয়ে সংগ্রামের যাবে, আন্দোলনে যাবে।”

গত ২৭ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) বিদ্যুতের দাম গড়ে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ এবং গ্যাসের দাম গড়ে ২৬ দশমিক ২৯ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা দেয়, যা সেপ্টেম্বর থেকেই কার্যকর হবে।

এছাড়া গাড়িতে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস বা সিএনজির দাম প্রতি ঘনমিটারে ৫ টাকা বাড়িয়ে ৩৫ টাকা করা হয়েছে।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনে মাহবুবুর রহমান বলেন, “দেশে আজ গণতন্ত্র নেই। জনগণের  মৌলিক অধিকার পদদলিত হচ্ছে। খাদ্য-বস্ত্র-শিক্ষা-স্বাস্থ্যর মতো বিদ্যুৎ ও গ্যাস পাওয়া মানুষের মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে।

“সরকার অযৌক্তিভাবে সম্পূর্ণ জোর করে মানুষের সুখ-শান্তি বিনষ্ট করে বিদ্যুৎ-গ্যাস-তেলের দাম বাড়িয়েছে। এটা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।”

বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিক্রিয়ার বিষয়টি তুলে ধরে বিএনপির এই নেতা বলেন, “এতে আমাদের অর্থনীতি আরো ক্ষতির মুখে পড়বে। আমাদের শিল্পায়ন বন্ধ হয়ে যাবে। রূপ্তানিখাতে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে। বড় কথা হচ্ছে, সাধারণ মানুষ, খেটে খাওয়া মানুষের বড় কষ্ট হবে। তাদের আবার হারিকেন কিনতে হবে।”

মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, সাবেক সংসদ সদস্য শাহ আবু জাফর প্রমুখ বক্তব্য দেন।

গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিতে দ্রব্যমূল্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে আশঙ্কা করে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা।

এই সিদ্ধান্ত স্বল্প আয়ের মানুষের জীবনকে আরও কষ্টকর করে তুলবে-মন্তব্য করে বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন করছে বাম দলগুলো।

জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকেও দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয়েছে।