গবেষকরা বলছেন, ‘থান্ডার গড’ নামক লতাজাতীয় ওই গাছের নির্যাস থেকে এমন ওষুধ তৈরি করা সম্ভব যা মানুষের ওজন কমিয়ে অতিরিক্ত মুটিয়ে যাওয়ার সমস্যা দূর করবে।
ইঁদুরের ওপর গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে, এ ভেষজ প্রয়োগে খাদ্য গ্রহণের মাত্রা সুনির্দিষ্ট হারে কমিয়ে আনা এবং দেহের ওজন ৪৫ শতাংশ পর্যন্ত ঝরিয়ে ফেলা সম্ভব। ওজন কমানোর এই যৌগটির নাম সেলাস্ট্রল।
জ্যেষ্ঠ গবেষক যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভাড মেডিকেল স্কুলের উমুত ওজকান বলেন, “সেলাস্ট্রল ইঁদুরের ওপর যেভাবে কাজ করেছে সেভাবে যদি মানব শরীরে কাজ করে তবে স্থুলতার চিকিৎসায় এটি হবে যুগান্তকারী পন্থা।”
এর মাধ্যমে এমন অনেক রোগী যারা স্থুলতা এবং এর কারণে অন্যান্য রোগ যেমনঃ হৃদরোগ, ফ্যাটি লিভার বা টাইপ-টু ডায়াবেটিসে ভুগছেন তাদের স্বাস্থ্যের অনেক উন্নতি হবে।
ইঁদুরের ওপর চালানো গবেষণায় দেখা গেছে, মাত্র এক সপ্তাহ সেলাস্ট্রল চিকিৎসার পর স্থুল ইঁদুরগুলো আগের তুলনায় ৮০ শতাংশ খাবার কম খাচ্ছে। তিন সপ্তাহ পর দেখা গেছে, ইঁদুরগুলোর ওজন ৪৫ শতাংশ কমেছে।
বর্তমানে ওজন কমাতে বারিয়াট্রিক সার্জারি করতে হয়। নতুন এ পদ্ধতি এর তুলনায় অনেক সহজ হবে বলে দাবি গবেষকদের।
ওজন কমানোর এই মিশ্রনটি একইসঙ্গে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে, লিভারের কার্যকারিতা বাড়াতে এবং রক্তে শর্করার পরিমাণ ঠিক রাখতে সাহায্য করে। ফলে হৃদরোগ, ফ্যাটি লিভার ও টাইপ-টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি অনেক কমে যাবে।
গবেষকরা জানান, সেলাস্ট্রল গ্রহণে ইঁদুরের শরীরে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। মানব শরীরেও কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে না বলে তারা আশা করছেন। তবে বিষয়টি এখনো কোনো পরীক্ষা করে দেখা হয়নি।