মোবাইলে স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন ১০ লাখ মা

মোবাইলের মাধ্যমে ১০ লাখ মাকে বাড়িতে বসেই মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা ও পরামর্শ পৌঁছে দিচ্ছে ‌'আপনজন' প্রকল্প।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Feb 2015, 04:09 PM
Updated : 5 Feb 2015, 04:09 PM

স্বাস্থ্য সেবার তথ্য প্রদানের এই প্রকল্পের ১০ লাখ গ্রাহকের মাইলফলক মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে স্পেকট্রা কনভেনশন সেন্টারে উদযাপন করা হল।

ইউএসএআইডিএ'র সহায়তায় ২০১২ সালের ডিসেম্বর থেকে গর্ভবতী, প্রসূতি ও তাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মোবাইল ফোনে ভয়েস কল ও এসএমএস'র মাধ্যমে বিভিন্ন সচেতনতামূলক ও স্বাস্থ্য তথ্য দিয়ে থাকে 'আপনজন'।

আপনজনের সেবা পেতে হলে যে কোনো মোবাইল ফোন থেকে ১৬২২৭ নম্বরে ফোন করে ১ চেপে নিবন্ধন করতে হয়।

২০১৪ সালের মে মাসে ৫ লাখ গ্রাহকের কাছে পৌঁছে যায়। এরপর মাত্র ৪ মাসের মধ্যে ২০১৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বরে আপনজন স্পর্শ করে ১০ লাখ গ্রাহকের মাইলফলক, অর্থাৎ মাত্র ১২০ দিনে প্রকল্পে গ্রাহক দ্বিগুণ হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও গ্লোবাল ডিরেক্টর অনন্য রায়হান এ প্রকল্পটির বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন।

তিনি জানান, গর্ভাবস্থা এবং বাচ্চার বয়স অনুযায়ী গ্রাম বা শহরের মানুষেরা মোবাইলের মাধ্যমে বোধগম্য ভাষায় অতি প্রয়োজনীয় তথ্য ‌'আপনজন' গ্রাহকরা পেয়ে থাকেন।

মূলত ইউএসএআইডি এর অর্থায়ানে মোবাইল অ্যালায়েন্স ফর ম্যাটারনাল অ্যাকশনের সহযোগিতায় এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করে আসছে ডি-নেট নামের একটি প্রতিষ্ঠান।

২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার রোধে পরীক্ষামূলকভাবে 'আপনজন' উদ্যোগ শুরু করে ডি-নেট। ২০১২ সালের অগাস্টে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পর্যায়ে আপনজনের কার্যক্রম শুরু হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ‍“আপনজন প্রকল্পটি সফল করার জন্য এ প্রকল্পের কর্মীরা যে নিরলস পরিশ্রম করেছে, তার সাক্ষী আমি নিজেই। বাংলাদেশ সরকারও মাতৃ ও শিশুমৃত্যুর হার কমাতে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এক্ষেত্রে আপনজনও বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছে।”

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইউএসএআইডি বাংলাদেশের জনসংখ্যা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি এবং শিক্ষা বিষয়ক কার্যালয়ের পরিচালক মেলিসা জোনস বলেন, “আমি আপনজন'র অংশ হতে পেরে খুবই গর্বিত। এই প্রকল্পটি আরেকটি প্রমাণ যে বাংলাদেশিরা কিছু করবে বলে মনে করলে তা করবেই।”

এ প্রকল্পটি সফল করার জন্য স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয় এবং সরকারের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন কার্যক্রমের অংশীদারিত্বকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের যুগ্মসচিব এবং পরিচালক (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ ফায়জুল হক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী মহাপরিচালক (প্রশাসন) ড. মো.শাহ্‌ নাওয়াজ,এনআইপিওআরটি'র মহাপরিচালক মোহাম্মদ ওহাদ হোসাইন, মামনিহেলথ সিস্টেম স্ট্রেংদেনিং প্রোগ্রামের চিফ অব পার্টি ইশতিয়াক মান্নানসহ প্রকল্পটির বিভিন্ন অংশীদারদের প্রতিনিধিরা।