ইবোলা চিকিৎসাকর্মীদের নজরদারিতে রাখবে যুক্তরাষ্ট্র

পশ্চিম আফ্রিকায় ইবোলা রোগীদের সেবা দিয়ে ফিরে আসা চিকিৎসক ও নার্সদেরকে আইসলেসন বা নিঃসঙ্গতায় না পাঠিয়ে বরং তাদের ওপর নজরদারি চালাবে যুক্তরাষ্ট্র।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Oct 2014, 12:30 PM
Updated : 28 Oct 2014, 12:30 PM

দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা সোমবার রাত থেকে এ নতুন নীতিমালা নিয়েছেন।

সম্প্রতি সিয়েরালিওন থেকে নিউ জার্সির বিমানবন্দরে নামা এক নার্সকে আটক করে একটি তাঁবুতে নিঃসঙ্গ করে রাখা হয়। এতে তার সঙ্গে অপরাধী-সুলভ আচরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ওই নার্স।

ওদিকে, জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুনও এ আচরণের নিন্দা জানানোর পর যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা নতুন এ নীতি নিলেন।

এ নীতিমালার আওতায় পশ্চিম আফ্রিকা থেকে ফিরে আসা নার্স ও চিকিৎসকদেরকে নিঃসঙ্গ করে রাখা হবে না। বরং নজরদারিতে রেখে ২১ দিন ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে তাদেরকে।

বান কি মুন বলেছেন, ইবোলার লক্ষণ দেখা না যাওয়া পর্যন্ত ইবোলা চিকিৎসাকর্মীদেরকে এভাইরাস আক্রান্ত বলে ধরে নিয়ে তাদেরকে নিঃসঙ্গ করে রাখার মতো কড়াকড়ি করা ঠিক না। কারণ, এই স্বাস্থ্যকর্মীরা মানবতার সেবায় আত্মনিয়োগ করা ব্যতিক্রমধর্মী মানুষ।

ইবোলা আক্রান্ত হওয়ার চরম ঝুঁকিতে থাকা মানুষদেরকে নিঃসঙ্গ করে রাখার সিদ্ধান্ত রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় প্রতিটি রাজ্যেই। তবে দেশটির কেন্দ্রীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (সিডিসি) ঘোষিত নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, পশ্চিম আফ্রিকার ইবোলা আক্রান্ত তিনটি দেশ থেকে ফিরে আসা চিকিৎসাকর্মীদেরকে নিঃসঙ্গ না রেখে বরং তাদেরকে দৈনিক পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।

নিউ জার্সি অবশ্য সিডিসির এ নীতিমালা প্রত্যাখ্যান করেছে। সেখানে স্বাস্থ্যকর্মীদের বাধ্যতামূলকভাবে ২১ দিন নিঃসঙ্গ করে রাখা হচ্ছে। ওবামা প্রশাসনের গৃহীত নতুন নীতিমালা মেনে চলা বাধ্যতামূলক না হওয়ার কারণে বিভিন্ন রাজ্যের কড়াকড়ি নিয়ম চালু রাখার অধিকার অক্ষুন্ন রয়েছে।

ইবোলা ভাইরাস পশ্চিম আফ্রিকার বাইরে ছড়িয়ে পড়া নিয়ে আতঙ্কের কারণে দেশে দেশে কড়াকড়ির মধ্যে অস্ট্রেলিয়াও পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর মানুষের জন্য ভিসা নিষিদ্ধের পদক্ষেপ নিয়েছে। এ পদক্ষেপের জন্য সমালোচনার শিকার হয়েছে অস্ট্রেুলিয়াও।