স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশকে পাশে চায় ভারত

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমর্থন চেয়েছেন ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Sept 2014, 12:27 PM
Updated : 9 Sept 2014, 12:27 PM

তিনি বলেন, দুই দেশের যৌথ প্রয়াসে শুধু বাংলাদেশ এবং ভারতেই নয়, পুরো অঞ্চলেই স্বাস্থ্য খাতের সর্বোচ্চ মানোন্নয়ন করা সম্ভব।

মঙ্গলবার ঢাকায় বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অঞ্চলের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের বৈঠকের উদ্বোধনী অধিবেশনে একথা বলেন হর্ষবর্ধন।

দুপুরে সোনারগাঁও হোটেলে ১১টি দেশের ৩২তম বৈঠকের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশ ও ভারত ছাড়াও ভুটান, উত্তর কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড এবং পূর্ব-তিমুরের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বৈঠকে অংশ নেন।

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক এই কমিটি সিয়েরা নামে পরিচিত।

হর্ষবর্ধন তার বক্তব্যে ভারত তথা এই অঞ্চলের স্বাস্থ্য খাতের ব্যাপক সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে এর উন্নয়নে তার প্রচেষ্টায় শেখ হাসিনার সমর্থন কামনা করেন।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে হর্ষবর্ধন বলেন, “শুধু নিজেদের দেশেরই নয়, পুরো অঞ্চল এবং জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়নে আমি যে কাজ শুরু করেছি, সেই পথ পাড়ি দিতে আমি আপনার (শেখ হাসিনা) মূল্যবান সমর্থন কামনা করছি।”

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ক্যান্সার, হৃদরোগের মতো দুরারোগ্য রোগে বেশি মানুষের প্রাণহানি হয় উল্লেখ করে এসব রোগ প্রতিরোধে কার্যকর নীতি গ্রহণ করা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
একই সঙ্গে পতঙ্গবাহী, বিশেষ করে মশাবাহিত রোগগুলো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে নির্মূলের ওপরও গুরুত্ব দেন ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এ ধরনের রোগ নির্মূলে সমন্বিত উদ্যোগ নেয়ার ওপর জোর দিয়ে মঙ্গলবার বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার ৬৭তম আঞ্চলিক সম্মলনে এ অঞ্চলের স্বাস্থ্যমন্ত্রীরা ‘ঢাকা ঘোষণা’য় সই করবেন। 

‘ঢাকা ঘোষণা’য় ভারতের পূর্ণ সমর্থন থাকবে বলে জানান হর্ষবর্ধন।  
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তায় এসব সমস্যা মোকাবেলায় সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

ভারতীয় মন্ত্রী বলেন, “স্বাস্থ্য খাতে আমাদের আরো বিনিয়োগ করার পাশাপাশি ব্যয়ের মূল্যও পেতে হবে। আমাদের জরুরি এবং জটিল রোগের ওষুধের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে হবে।”

স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে তথ্য-উপাত্ত, প্রযুক্তি এবং কার্যকর যোগাযোগের শক্তিকে ব্যবহার করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

প্রাকৃতিক ওষুধ এবং রোগ নিরাময়ের প্রাচীন পদ্ধতি ‘ইয়োগা’র প্রসার ঘটানোর আহ্বানও জানান হর্ষবর্ধন।

স্বাস্থ্যসেবাকে সামাজিক আন্দোলন হিসেবে গড়ে তোলা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

“সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমেই শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার কমিয়ে আনা সম্ভব।”