নয় মাস থেকে ১৫ বছরের শিশুরা এই কর্মসূচির আওতায় টিকা গ্রহণ করতে পারবে। এ হিসাবে সংখ্যাটা দাঁড়ায় পাঁচ কোটি ২০ লাখের মতো, যাদের দেয়া হবে হাম-রুবেলার টিকা।
সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) তদারকির দায়িত্বে থাকা ডা. সৈয়দ আবু জাফর মো. মুসা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তারা স্কুলের বাচ্চাদের এই টিকা দেয়া শুরু করেছেন।
“প্রথম সপ্তাহে কার্যক্রম চলবে স্কুল পর্যায়ে এবং ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এলাকাভিত্তিক। এই কর্মসূচি চলবে তিন সপ্তাহ।”
শনিবার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার গণভবনে আনুষ্ঠানিভাবে এর উদ্বোধন করবেন বলে জানান ড. মুসা।
রুবেলা হামের লক্ষণ হচ্ছে জ্বরের সঙ্গে গোলাপী বর্ণের র্যাশ ওঠা। প্রথম পর্যায় র্যাশ মুখে দেখা গেলেও পাঁচ থেকে সাতদিনের মধ্যে তা সারা গায়ে ছড়িয়ে পড়ে। গ্রীষ্মকালে রোগটির সংক্রমণ বেশি ঘটে।
কোনো গর্ভবতী নারী রুবেলায় আক্রান্ত হলে তার পরিণতি খুবই খারাপ হতে পারে। তবে একবার টিকা নিলে সারা জীবনের জন্য সুরক্ষা পাওয়া যায়।
প্রতিরোধযোগ্য রোগ থেকে শিশু মৃত্যুর হার কমানোর লক্ষ্যে ১৯৭৯ সাল থেকে বাংলাদেশে ইপিআই কর্মসূচি চালু হয়েছে। এ কর্মসূচির আওতায় দেশের ৮৫ শতাংশেরও বেশি শিশুকে হামের টিকা দেয়া হয়েছে।
ডা. মুসা বলেন, এর আগে ২০০৬ সালে নয় মাস থেকে ১০ বছরের মধ্যে সাড়ে তিন কোটি শিশুকে টিকা দেয়ার লক্ষ্য ধরে টিকাদান কার্যক্রম নেয়া হয়েছিল, যা ছিল এ পর্যন্ত সর্ব বৃহৎ টিকাদান কর্মসূচি।
ইপিআই কর্মসূচি অনুযায়ী, দেশের ১ লাখ ৭১ হাজার ৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তিন কোটি ৪০ লাখ শিশুকে টিকা দেয়া হবে। বাকিদের টিকা দেয়া হবে এলাকাভিত্তিক কেন্দ্রগুলোতে।