‘বিশ্বে ধূমপায়ীর সংখ্যা শতকোটি’

যদিও বিশ্বের অনেক অঞ্চলে ধূমপানের প্রবণতা কমে এসেছে তারপরও বিশ্বে মোট ধূমপায়ীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

নিউজ ডেস্ক>>বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Jan 2014, 05:45 AM
Updated : 11 Jan 2014, 05:47 AM

বিশ্ব পরিসংখ্যানে এ তথ্য প্রকাশ পেয়েছে বলে বিবিসি জানিয়েছে।

২০১২ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিশ্বে প্রতিদিন ৯৬ কোটি ৭০ লাখ মানুষ ধূমপান করে। যেখানে ১৯৮০ সালে এই সংখ্যা ছিলো মাত্র ৭২ কোটি ১০ লাখ।

পরিসংখ্যানের গবেষকরা ১৮৭টি দেশ থেকে তথ্য নিয়ে এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছেন।

গবেষকরা জানান, যদিও ধূমপায়ীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়া পৃথিবীর মোট জনসংখ্যা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত।

গত ৫০ বছরে পৃথিবীর জনসংখ্যা দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। ফলে ধূমপানে অভ্যস্ত মানুষের সংখ্যাও স্বাভাবিকভাবে বেড়েছে।

পরিসংখ্যানের প্রতিবেদনে দেখানো হয়, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ, চীন ও রাশিয়াসহ আরো বেশ কিছু দেশে ধূমপায়ীর সংখ্যা বেশ বেড়েছে। আর এখন উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ধূমপায়ীর সংখ্যা সবচেয়ে উচ্চহারে বাড়ছে।

তবে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার অনুপাতে বিশ্বজুড়ে মোট ধূমপায়ীর সংখ্যা বর্তমানে নিম্নমুখী।

বর্তমানে ১০ জন পুরুষের মধ্যে ৩ জন এবং ২০ জন নারীর মধ্যে ১ জন ধূমপান করেন। যেখানে ১৯৮০ সালে এই হার ছিলো ১০ জন পুরুষে ৪ জন এবং ১০ জন নারীর মধ্যে একজন।

প্রধান গবেষক ড. ক্রিস্টোফার মারি বলেন, “তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে অসাধারণ সাফল্য পাওয়ার পরও এখনো অনেক কিছু করার বাকি আছে।“

বিশ্বের যেসব দেশে ধূমপানের ব্যাপকতা রয়েছে তাদের মধ্যে সবচেয়ে ওপরে আছে পূর্ব তিমুরের নাম। দেশটির ৬১ শতাংশ মানুষ প্রতিদিন ধূমপান করেন।

আর সবচেয়ে নিচে আছে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের দুই দেশ অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডা। সেখানে প্রতিদিন মাত্র ৫ শতাংশ মানুষ ধূমপান করেন।

ধূমপানের অভ্যাস থেকে জনগণকে ফিরিয়ে আনতে, বন্ধ করতে বা কখনো ধূমপান না করার জন্য উৎসাহ দেয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সফল হয়েছে কানাডা, আইসল্যান্ড, নরওয়ে ও মেক্সিকো।

গবেষকরা তাদের প্রতিবেদনে আরো বলেন, গ্রিস, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, জাপান, চীন, কুয়েত, ফিলিপাইন, রাশিয়া, সুইজারল্যান্ড ও উরুগুয়েতে ধূমপানের ব্যাপকতা অনেক বেশি। ওইসব দেশের জনগণের খারাপ স্বাস্থ্যের জন্য উচ্চমাত্রায় সিগারেট গ্রহণ অনেকাংশে দায়ী।

ধূমপানের প্রবণতাকে অনুৎসাহিত করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়, সিগারেটের ওপর উচ্চহারে কর আরোপ করে এবং ধোঁয়ামুক্ত বায়ু আইন প্রণয়ন নীতি বজায় রেখে আরো অতিরিক্ত কয়েক মিলিয়ন মানুষের জীবন রক্ষা করা সম্ভব।
২০১২ সালে বিশ্বজুড়ে প্রায় ৬.২৫ ট্রিলিয়ন সিগারেট পান করা হয়েছে। যেখানে ১৯৮০ সালে এই সংখ্যা ছিলো ৪.৯৬ ট্রিলিয়ন।