মঙ্গলবার বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবসে জাতিসংঘে আয়োজিত আলোচনায় মূল প্রবন্ধে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে ও গ্লোবাল অটিজম পাবলিক হেলথ ইনিশিয়েটিভ বাংলাদেশের জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপার্সন সায়মা হোসেন।
তিনি বলেন, “দেশের ভৌগোলিক সীমানা পেরিয়ে অটিজম আজ আন্তর্জাতিক সমস্যা। এই সমস্যা দূরীকরণে পারিবারিক পর্যায়ে থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক মহলের বিশেষ মনোযোগই মূল হাতিয়ার।”
মানসিক প্রতিবন্ধী শিশুকে কোনো ধরনের অবহেলা না করে মানুষ হিসেবে তাকে তার সামর্থ্য অনুধাবনের সুযোগ দেয়া জরুরি মন্তব্য করে তিনি বলেন, এজন্য অটিস্টিক শিশু ও তার পরিবারের সহায়তায় বিশ্ব সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে আসতে হবে।
জাতিসংঘের সদরদপ্তরে ওই আলোচনা সভায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এ কে আব্দুল মোমেনের সভাপতিত্বে জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত ও সহকারী মহাসচিব শামসাদ আকতার, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্বাহী পরিচালক জ্যাকব কুমারেসান, অটিজম স্পিকসের প্রতিষ্ঠাতা বব রাইট ও সুজান রাইট, ডেভিড মন্ডিল, হোলি রবিনসন পিটিসহ আরো অনেকে বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ আ স ম ফিরোজ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সমাপনী বক্তব্যে সায়মা হোসেন বলেন, অটিজম মস্তিষ্কের স্বাভাবিক বিকাশের প্রতিবন্ধকতা যা শিশুর জন্মের তিন বছরের মধ্যে প্রকাশ পেয়ে থাকে।
সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা প্রতিবেদন তুলে ধরে তিনি বলেন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ৮৮ জনের একজন এবং সারা বিশ্বে মোট ৭০ মিলিয়ন অর্থাৎ সাত কোটি মানুষ অটিজমে আক্রান্ত।
“প্রতিবছর এইডস, ডায়াবেটিস ও ক্যান্সারের মতো রোগে মোট যতো সংখ্যক শিশু আক্রান্ত হয় তার চেয়ে বেশি সংখ্যক অটিস্টিক শিশু সনাক্ত হয়।”
বাংলাদেশে গত দুই বছর অটিস্টিকদের জন্য কাজের অভিজ্ঞতার আলোকে সায়মা হোসেন বলেন, “এই অটিজম আক্রান্তদের জন্য দরকার বহুমুখী সহায়তা।”
জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন মধ্যপ্রাচ্য সফরে যাওয়ায় তার শুভেচ্ছা বক্তব্য উপস্থাপন করেন সহকারী মহাসচিব শামসাদ আকতার।
বান কি মুনের বার্তায় বলা হয়, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে অটিজম আক্রান্তদের সহায়তায় আরো বড় পরিসরে কাজ করার মানসিকতা নিয়ে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, শুরুতেই অটিজম আক্রান্তদের জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি ভবিষ্যতে চাকরির জন্য উপযোগী করে তুলতে শিক্ষা ক্ষেত্রেও তাদের সহযোগিতা দিতে হবে।