স্মার্টফোনে বাফারিংয়ে ‘মানসিক ক্ষতি’

ব্যস্ত সময়ে ইন্টারনেট সেবার ধীর গতি কিংবা ভিডিও চলার সময় সময়ক্ষেপণ মোবাইল ব্যবহারকারীর মানসিক চাপের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় বলে একটি প্রযুক্তি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের গবেষণায় উঠে এসেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 April 2016, 04:48 PM
Updated : 11 April 2016, 02:08 PM

অন্যদিকে, ঝামেলাহীন ইন্টারনেট সেবা ও ভিডিও গ্রাহকদের মাঝে ইতিবাচক আবেগী প্রতিক্রিয়া তৈরি করে।

সম্প্রতি মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে মোবিলিটি প্রতিবেদন প্রকাশ পর্বে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের ওপর অপারেটরের নেটওয়ার্ক কর্মক্ষমতার ভিন্ন মাত্রার প্রভাব, অপারেটর এবং ডিজিটাল কনটেন্ট প্রস্তুতকারকদের সম্পর্কে ব্যবহারকারীদের মনোভাব নিয়ে গবেষণাটি তুলে ধরে এরিকসন।

গবেষণায় বিভিন্ন স্মার্টফোন নেটওয়ার্ক সম্পর্কে ব্যবহারকারীদের প্রতিক্রিয়া পরিমাপ করতে স্নায়ুবিজ্ঞান প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।

এতে দেখা যায়, সময়ের চাপ থাকাকালীন যদি ওয়েব পেইজ লোড কিংবা ভিডিও লোড হতে দেরি হয়, তাহলে মোবাইল ব্যবহারকারীদের হৃদস্পন্দন গড়ে ৩৮ শতাংশ বেড়ে যায়। এছাড়া ভিডিও স্ট্রিমিংয়ের ক্ষেত্রে ছয় সেকেন্ড দেরি ব্যবহারকারীদের উপর চাপের মাত্রা এক-তৃতীয়াংশ বাড়িয়ে তোলে।

গবেষণায় বলা হয়েছে, একবার একটি ভিডিও শুরু হবার পর অতিরিক্ত বিরতি গ্রাহকের চাপের মাত্রাকে নাটকীয়ভাবে বাড়িয়ে তুলতে পারে।

“বিরতিহীন সেবা একটি অপারেটরের নেট প্রমোটার স্কোর (এনপিএস) ৪.৫ গুণ বৃদ্ধি করে। অপরদিকে, কন্টেন্টের মধ্যবর্তী অচলবস্থা বা রি-বাফারিংয়ের কারণে অপারেটরদের এনপিএস গড়ে ৪ পয়েন্ট নেমে যায়।”

প্রতিবেদনের আরও কিছু তথ্য

* ২০১৫ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে সারাবিশ্বে ৬ কোটি ৮০ লাখ মোবাইল গ্রাহক বেড়েছে। এই সময়ে ভারত ২ কোটি, চীন ৬০ লাখ, যুক্তরাষ্ট্র ৫০ লাখ, মিয়ানমার ৫০ লাখ এবং নাইজেরিয়া ৩০ লাখ অতিরিক্ত গ্রাহক পেয়েছে।

* ২০১৪ সালের চতুর্থ প্রান্তিক থেকে ২০১৫ সালের চতুর্থ প্রান্তিক পর্যন্ত গ্লোবাল মোবাইল ডেটা ৬৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।