যুক্তরাষ্ট্রে ‘যৌন সংসর্গের মাধ্যমে’ জিকা সংক্রমণ

যুক্তরাষ্ট্রে ‘যৌন সংসর্গের’ মাধ্যমে জিকা ভাইরাস সংক্রমণের বিরল একটি ঘটনার খবর পাওয়া গেছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Feb 2016, 04:25 AM
Updated : 3 Feb 2016, 04:27 AM

সাধারণত এডিস মশার মাধ্যমে এই ভাইরাসটি ছড়ায়।

বিবিসি বলছে, টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ডালাসে জিকা ভাইরাসে সংক্রমিত একজন রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে।

সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) জানিয়েছে, সম্ভবত যৌন সংসর্গের মাধ্যমে এই ভাইরাস সংক্রমিত হয়েছে।

আক্রান্ত ব্যক্তি জিকা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রয়েছে এমন কোনো স্থানে ভ্রমণ করেননি। কিন্তু যার সঙ্গে তার যৌন সংসর্গ হয়েছে তিনি ভেনেজুয়েলা ভ্রমণ করে এসেছেন বলে জানা গেছে।

অবশ্য যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে জিকা সংক্রমণের ঘটনা এটিই প্রথম নয়। ২০১৩ সালেও এ ধরনের একটি সংক্রমণ ঘটেছিল বলে জানিয়েছে সিডিসি।

এর আগে বিদেশ থেকে আসাদের মধ্যে জিকা ভাইরাস পাওয়া গেলেও এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরেই জিকা সংক্রমণের ঘটনা ঘটল।

জিকা ভাইরাস মশার মাধ্যমে ছড়ায় এবং অস্বাভাবিক ছোট মাথার শিশুজন্মে এই ভাইরাসটি দায়ী হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে অস্ট্রেলিয়াতেও জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত দুই রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে বলে খবর এসেছে।

কর্মকর্তারা বলছেন, সিডনির দুই ব্যক্তির শরীরে এই ভাইরাসের অস্থিত্ব পাওয়া গেছে যারা সম্প্রতি ক্যারিবিয়ান অঞ্চল ভ্রমণ করে এসেছেন।

জিকা ভাইরাস যদি যৌন সংসর্গের মাধ্যমে ছড়ানোর সুযোগ থাকে তবে তা বিশ্বের সব দেশের জন্যই হুমকি।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, যৌন সংসর্গের মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়ানোর ঘটনা বিরল। অবশ্য গেল বছর তারা জানিয়েছিল, জিকা সংক্রান্ত যেকোনো ঘটনাই বিরল।

এটি এইচআইভি বা এইডসের মতো নয়। এইচআইভি সংক্রমণ এখনো পর্যন্ত অনিরাময়যোগ্য এবং প্রতিদিন ওষুধ গ্রহণ ছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তি দ্রুত মৃত্যুমুখে পতিত হন।

সাধারণত এডিস মশার মাধ্যমে এই ভাইরাসটি ছড়ায়। ছবি: রয়টার্স

সম্প্রতি দক্ষিণ আমেরিকার পর জিকা ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় বিশ্বময় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

স্বাস্থ্য বিষয়ক এই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব সংস্থাটি বলেছে, মশাবাহিত এই ভাইরাসটির সংক্রমণ ঠেকাতে সমন্বিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে।

আফ্রিকায় ইবোলো ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণায় দেরি নিয়ে সমালোচনার মধ্যে থাকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সোমবার জিকা ভাইরাস নিয়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বলে বিবিসি ও রয়টার্স জানিয়েছে।

এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে সংস্থার মহাপরিচালক মার্গারেট চ্যান জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের আর অপেক্ষা করার সুযোগ নেই।”

জিকা ভাইরাস দুই আমেরিকার ২৪টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে বলে দি প্যান আমেরিকান হেলথ অর্গানাইজেশন জানিয়েছে। এতে আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ লাখ।

শুধু ব্রাজিলেই এই ভাইরাসের কারণে ৪০ হাজার শিশু বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হয়ে জন্ম নিয়েছে।