মঙ্গলবার ঢাকার একটি হোটেলে বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন (বিইএফ) ও আইএলও আয়োজিত এক কর্মশালায় বেসরকারি খাতের প্রতিনিধি, কর্মজীবী ও শ্রম বিশেষজ্ঞরা নতুন সংগঠন নিয়ে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে মুক্ত আলোচনায় কর্মক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বিশেষ দক্ষতার বিভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন অংশগ্রহণকারীরা।
কিছু ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে সুস্থ মানুষের চেয়ে প্রতিবন্ধীরা বেশি কর্মঠ ভূমিকা পালন করতে পারে বলেও তাদের আলোচনায় উঠে আসে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, প্রতিবন্ধিতার শিকার জনগোষ্ঠীকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে যাবতীয় কাজ করে যাচ্ছে সরকার। প্রতিবন্ধীদের প্রশিক্ষণে কোনো সংস্থা উদ্যোগ নিলে তাদেরকেও সহায়তা দেবে সরকার। তবে বেসরকারি খাতগুলোকে প্রতিবন্ধীদের জন্য পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।
এইএলওর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গ্লোবাল বিজনেস অ্যান্ড ডিজঅ্যাবলিটি নেটওয়ার্ক’ নামে আইএলও’র একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠানের সাফল্য ও কাজের অভিজ্ঞতা থেকে বাংলাদেশে এ ধরনের কার্যক্রম চালুর চিন্তা করা হয়। বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন বিইএফের মাধ্যমে এ কর্মসূচি চালানো হবে।
বিইএফ’র প্রেসিডেন্ট সালাহউদ্দিন কাশেম খান বলেন, “এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রকে আরও বেশি শ্রমিকবান্ধব, বিশেষ করে প্রতিবন্ধী শ্রমিকবান্ধব করতে আমরা প্রতিষ্ঠানগুলোকে উৎসাহিত করবো। প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলোর সঙ্গে প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান এমনকি চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গেও সংযোগ ঘটিয়ে দেওয়া হবে।”
আইএলও’র দক্ষতা উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ কিশোর কুমার সিংহ বলেন, প্রতিবন্ধীদের কর্মক্ষেত্র বাড়ানোর মাধ্যমে তাদের সক্ষমতার স্বীকৃতি দেওয়া হয়। বেসরকারি খাত এবিষয়ে আরও বেশি এগিয়ে আসলে তা আমাদেরকে আশান্বিত করবে।
অনুষ্ঠানে কেয়া গ্রুপ, স্কয়ার গ্রুপ, রেনেটা গ্রুপ, বেক্সিমকো গ্রুপসহ আরও কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়ে তাদের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন।