নাটকটি মূলত একক চরিত্রকেন্দ্রিক। এতে অভিনয় করেছেন লিসা গাজী। নাটকটির ধারণা ও গবেষণা তারই করা। একজন বীরাঙ্গনার অভিজ্ঞতা বর্ণনারীতিতে উপস্থাপন করেন তিনি। সেইসঙ্গে মঞ্চের পর্দায় চার জন বীরাঙ্গনার উপর পাকিস্তানি সেনাদের নির্যাতন, সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি, টিকে থাকার লড়াইয়ের অভিজ্ঞতার ভিডিওচিত্র দেখানো হয় ।
মঞ্চায়ন শেষে লিসা বলেন, “নাটকটি সম্পূর্ণ রূপেই বীরাঙ্গনাদের নিয়ে। যেখানে আমরা তুলে ধরতে চেয়েছি বীরাঙ্গনাদের অব্যক্ত কথা। আমরা এর কাজ শুরু করি ২০১০ সালে। সিরাজগঞ্জ জেলার কয়েক শত বীরাঙ্গনার সাক্ষাৎকার নিয়েছি আমরা। যার মধ্যে তুলে ধরেছি মাত্র চারজনের কথা।”
নাটকটির চিত্রনাট্য করেছেন সামিনা লুৎফা, পরিচালনা করেছেন ফেলিজ ওজান। আলোক নির্দেশনা দিয়েছেন নাসিরুল হক খোকন, মঞ্চসজ্জা ও অ্যানিমেশন করেছেন কেইটিলিন অ্যাবট, চিত্রপরিচালনা করেছেন ফাহমিদা ইসলাম, শব্দ ও সংগীত নির্দেশনা দিয়েছেন আহসান রেজা। কণ্ঠ দিয়েছেন সোহিনী আলম। নাটকটির মঞ্চ ও ব্যাবস্থাপনা পরিচালক যথাক্রমে ডমিনিক গোমেজ ও মোহম্মদ ফকরুজ্জামান চৌধুরী।
নাটকটি দেখে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানান দর্শকরা।
আলোকচিত্রী শহিদুল আলম বলেন, “আলোর কাজটি বেশ মজা লেগেছে, তবে আরও ভালো হওয়ার দাবি করে প্রযোজনাটি।”
সংগীতশিল্পী লুভা নাহিদ চৌধুরী বলেন, “এমনও অনেক বীরাঙ্গনা ছিলেন, যারা নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেননি কিংবা অপ্রকৃতিস্থ হয়ে গেছেন। তাদের কথাও তুলে ধরা যেত এবং সেটা একজন প্রশিক্ষিত শিল্পীর মাধ্যমে।”