এই নাটকে কী চরিত্রে অভিনয় করছেন, জিজ্ঞেস করা হলে এখনই কিছু বলতে চাননি রিয়াজ।
একটু হেসে তিনি গ্লিটজকে বললেন,“এখন যদি আমি সব বলে দেই তাহলে তো নাটকের আসল রহস্যটা উম্মোচিত হয়ে যাবে। এটা দশর্কের জন্য একটা ক্লাইম্যাক্স হিসেবে তোলা থাক। নাটকটি যখন দেখবেন তখনই সবকিছু জানতে পারবেন।”
তবে অভিনীত চরিত্র সম্পর্কে কিছু না বললেও সহশিল্পী মৌয়ের প্রশংসা করতে ভুলেননি এই অভিনেতা।
‘মন খারাপের দৃশ্যাবলী’ গড়ে উঠেছে দুজন নিঃসঙ্গ মানুষকে নিয়ে, জানালেন নির্মাতা। এক বইয়ের দোকানে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই সহপাঠির (রিয়াজ এবং মৌ) দেখা হয় অনেকদিন পরে, আলাপচারিতায় উঠে আসে দুজনের জীবনের নানান দিক।
মৌ জানতে পারে, পড়াশুনা করতে বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন রিয়াজের স্ত্রী, এখানে একা একা সময় কাটে এখন তার। স্ত্রীর সঙ্গে বয়সের ব্যবধানের কারণে মানসিক দূরত্বটাও অনেক বেশি। এমনই কিছু চলছে মৌয়ের জীবনেও। এরপর শুরু হয় পুরনো দিনের মতো দুই বন্ধুর সুখদুঃখ ভাগাভাগি করে নেওয়ার পালা।
দুজন বিবাহিত মানুষকে নিয়ে গড়ে উঠলেও একে পরকীয়ার গল্প বলতে নারাজ কৌশিক।
তার কথায়, “এটি মোটেও কোনো পরকীয়ার গল্প নয়। এটি হচ্ছে একজন আরেকজনকে বোঝার গল্প..বোঝানোর গল্প।”
নাটকটি পরিচালনার পাশাপাশি চিত্রনাট্যও লিখেছেন নির্মাতা নিজে।
বললেন, ‘মন খারাপের দৃশ্যাবলী’র জন্য রিয়াজ-মৌ জুটি ছিলেন তার প্রথম পছন্দ।
তিনি আরও বলেন, ‘এই নাটকটির গল্পের জন্য তারা দুজনই ছিলেন আমার প্রথম পছন্দ। এর মূল কারণ হল, এই নাটকের চরিত্রগুলোর সঙ্গে তারা খুবই মানানসই।’
মৌয়ের সঙ্গে আগে কাজ করলেও রিয়াজের সঙ্গে প্রথমবারের মতো কাজ করেছেন এই নির্মাতা। জানালেন, রিয়াজের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা ছিল দারুণ।
‘মন খারাপের দৃশ্যাবলী’ নাটকে আরও অভিনয় করেছেন লাক্স তারকা নিসা, ফকরুল বাশার মাসুম ও মিলি বাশার। নাটকটি এবারে ঈদে একটি বেসরকারী টেলিভিশনে প্রচারিত হবে।