প্রস্তাবিত বাজেটে অনুন্নয়ন ব্যয়ের পরিমাণ নিয়ে আপত্তি তুলে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির প্রধান হুইপ তাজুল ইসলাম চৌধুরী প্রশ্ন তুলেছেন- পরিস্থিতি ‘এমন হলে’ দেশের উন্নয়ন হবে কীভাবে।
Published : 27 Jun 2016, 01:24 PM
সোমবার জাতীয় সংসদে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, “প্রতি বছরের ন্যায় এবারও অনুন্নয়নের ব্যয়ের আধিক্য। এবারও উন্নয়ন ব্যয়ের অংশ হ্রাস পেয়েছে। মাথাভারি প্রশাসন পুষতে যদি এত টাকা খরচ হয় তবে উন্নয়ন কীভাবে হবে?”
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের প্রস্তাবিত প্রায় সাড়ে ৩ লাখ কোটি টাকার বাজেটে উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার ২৭ কোটি টাকা; যার ১ লাখ ১০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা যাবে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি)।
আর অনুন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ১৫ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা, যা বিদায়ী অর্থবছরের চেয়ে ৩২ শতাংশ বেশি।
এই অনুন্নয়ন ব্যয়ের বড় একটি অংশ যাবে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা এবং পেনশনে। এর সঙ্গে বিদেশি ঋণের পুঞ্জীভূত সুদ মেটানোর দায়ও রয়েছে।
আলোচনায় প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যয়ের ৭১ শতাংশের বেশি অর্থ রাজস্ব খাত থেকে আদায়ের লক্ষ্য পূরণ নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি তাজুল।
তিনি বলেন, “অর্থমন্ত্রী চির স্বপ্নবিলাসী মানুষ; তিনি নিজেও তা স্বীকার করেন। গত সাত বছরে এই সরকার রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি করেছে মাত্র ১ দশমিক এক শতাংশ।
“তাহলে কীভাবে লক্ষ্য পূরণ হবে? পরোক্ষ করের বোঝা চাপিয়ে জনগণের ওপর? করের ৭১ শতাংশ জনগণ দেবে। এটা কি সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করবে?”
আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা নিয়ে সরকারের কাজের সমালোচনা করে তাজুল বলেন, “অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতায় ব্যাংকিং খাতের অনিয়ম বন্ধের বিষয়ে কিছু বলেননি। সাগরচুরি কীভাবে বন্ধ হবে সেবিষয়ে কিছু বলেননি।
“দুর্নীতি বন্ধ আর আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা-সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে যতবড় বাজেটেই দেন না কেন বাস্তবায়ন হবে না।”