পাঁচটি খাতে কাজের জন্য বাংলাদেশ থেকে ১৫ লাখ কর্মী নিতে সমঝোতা স্মারকে সই করেছে মালয়েশিয়া।
Published : 18 Feb 2016, 09:51 AM
সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের সমন্বয়ে ‘জিটুজি প্লাস’ পদ্ধতিতে পাঁচ বছরমেয়াদী এই সমঝোতার আওতায় মালয়েশিয়ায় যেতে মাথাপিছু খরচ হবে ৩৪ থেকে ৩৭ হাজার টাকা, যা নিয়োগকর্তাই বহন করবে।
এই বাংলাদেশিরা মালয়েশিয়ার সেবা, নির্মাণ, কৃষি, প্ল্যান্টেশন ও ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে কাজ করার সুযোগ পাবেন।
মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী রিচার্ড রায়ত জায়েম এবং বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি বৃহস্পতিবার প্রবাসী কল্যাণ ভবনে এই সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
মালয়েশিয়ার মন্ত্রী অনুষ্ঠানে বলেন, “এই চুক্তির ফলে দুই দেশই উপকৃত হবে।”
আর প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, “আগে বাংলাদেশ থেকে কেবল প্ল্যান্টেশন খাতে লোক নিতো মালয়েশিয়া। এই চুক্তির ফলে আরও বড় পরিসরে বাংলাদেশিরা কাজের সুযোগ পাবে।”
পরে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এই চুক্তির মাধ্যমেই ৫ বছরে ১৫ লাখ শ্রমিক যাবে।
তবে ৫ বছরের জন্য স্বাক্ষরিত এই চুক্তি উভয়পক্ষের সমঝোতায় বাড়ানো যাবে বলে জানান নুরুল ইসলাম।
“সমঝোতা স্মারকের অধীনে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ বিভিন্ন সময়ে সভায় মিলিত হয়ে কর্মী নিয়োগের দুর্বলতা বা অভিযোগ থাকলে তার প্রতিকারের ব্যবস্থা করতে পারবে।”
প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালের আগে বিভিন্ন অব্যবস্থাপনার কারণে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া কর্মী নেওয়া বন্ধ করে। পরে ২০১২ সালে জিটুজি প্রক্রিয়ায় কর্মী পাঠানোর সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়, যার প্রটোকল সই হয় ২০১৪ সালে।
“জিটুজি প্রক্রিয়ায় আশানুরূপ কর্মী অভিবাসন অর্জিত না হওয়ায় মালয়েশিয়ার প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে বেরসকারি খাতকে সম্পৃক্ত করে জিটুজি প্লাস সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।”
শ্রমিকদের রেকর্ড খতিয়ে দেখা হবে
কোনো অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে মালয়েশিয়াগামী শ্রমিকদের সম্পৃক্ততা আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির মানবসম্পদমন্ত্রী রিচার্ড রায়ত জায়েম।
“আমার দেশে কাজ করতে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার আগে নিরাপত্তার স্বার্থে শ্রমিকদের পূর্ববর্তী কার্যক্রম ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখা হবে।”
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “যদি আমি ভুল করে না থাকি, তাহলে আইএলও’র কনভেনশন অনুসারে মালয়েশিয়ার শ্রমিকদের সঙ্গে বিদেশি শ্রমিকদের বেতনে বৈষম্যের কোনো সুযোগ নাই।
বর্তমানে মালয়েশিয়ায় এলাকাভেদে ন্যূনতম বেতন ৯০০ ও ৮০০ রিঙ্গিত নির্ধারিত আছে বলে জানান তিনি।