গত ২০ জুলাই চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালতে পূর্ব রেলের কার্পেন্টার, সিনিয়র ডাটাএন্ট্রি কন্ট্রোল অপারেটর, ট্রেড অ্যাপ্রেনটিস, রেকর্ড কিপার ও শরীর চর্চা শিক্ষক পদে নিয়োগে দুর্নীতির পাঁচ মামলায় জামিন পান মৃধা।
দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক মাহমুদ বলেন, “জামিন আদেশ হলেও ওইদিন জামিননামা জমা না দেওয়ায় পাঁচ মামলাতেই মৃধার জামিন বাতিলের আদেশ দিয়েছেন আদালত।”
এদিকে মঙ্গলবার আরো ছয়টি মামলায় তার জামিন আবেদন করা হলেও তা নাকচ করে দেয় আদালত।
চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মীর রুহুল আমিন এ আদেশ দেন।
তবে এদিন তিনটি মামলায় জামিন পেয়েছেন পূর্ব রেলের সাবেক সিনিয়র ওয়েলফেয়ার অফিসার গোলাম কিবরিয়া এবং সাবেক অতিরিক্ত প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান চৌধুরী জামিন।
টুল কিপার, টিকেট ইস্যুয়ার ও ট্রেন নম্বর টেকার, সহকারী লোকো মাস্টার, গুডস সহকারী এবং ইন্সপেক্টর- এই ছয় পদে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে করা মামলায় মঙ্গলবার জামিনের আবেদন করেন মৃধাসহ তিন আসামি।
আইনজীবী মাহমুদুল হক বলেন, “ছয়টি মামলায় ইউসুফ আলী মৃধার পক্ষে জামিনের আবেদন করা হলে আদালত শুনানি শেষে তা নামঞ্জুর করেন।
“এরমধ্যে টুল কিপার, টিকেট ইস্যুয়ার ও ট্রেন নম্বর টেকার পদের তিন মামলায় গোলাম কিবরিয়া ও হাফিজুর রহমান জামিন পেয়েছেন।”
এর আগে গত ২৭ এপ্রিল সহকারী কেমিস্ট ও ফুয়েল চেকার পদে নিয়োগ দুর্নীতির দুই মামলায় অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় মৃধাসহ তিন আসামিকে দুই বছর করে সাজা দেন আদালত।
এছাড়া গত বছরের ৩ অগাস্ট অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ঢাকার আদালতে মৃধার তিন বছরের সাজা হয়।
২০১২ সালের ৯ এপ্রিল রাতে ঢাকার বিজিবি সদর দপ্তরে সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সহকারী ওমর ফারুক তালুকদারকে বহনকারী গাড়িতে বিপুল পরিমাণ টাকা পাওয়ার ঘটনায় ব্যাপক তোলাপাড় শুরু হলে সেই গাড়িতে থাকা মৃধাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, ওই গাড়িতে ৭০ লাখ টাকা ছিল- যা আদায় করা হয় রেলের ‘নিয়োগ বাণিজ্যের’ মাধ্যমে।
এরপর ২০১০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে পূর্ব রেলের বিভিন্ন পদে নিয়োগ অনিয়মের অভিযোগে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানায় মৃধার বিরুদ্ধে ১৪টি মামলা করে দুদক।
২০১৪ সালের ৩ মার্চ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে ইউসুফ আলী মৃধাকে কারাগারে পাঠানো হয়।