তবে চিকিৎসাধীন শিশুরা বিপদমুক্ত আছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন আজিজুর রহমান সিদ্দিকী।
গত ৮ থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত চার দিনে ত্রিপুরা পাড়ায় অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে নয় শিশুর মৃত্যু হয়।
গায়ে জ্বর, ফুসকুড়ি, বমি ও পায়খানার সাথে রক্ত যাওয়াসহ নানা উপসর্গে দুই থেকে দশ বছর বয়সী শিশুরা এ অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।
এরপর ১২ জুলাই দুপুর থেকে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের উদ্যোগে আক্রান্ত এলাকার ৪৬ শিশুকে ফৌজদারহাট বাংলাদেশ ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজ (বিআইটিআইডি) ও চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ১২ জুলাইয়ের পর থেকে গত তিন দিনে আরও ৩৮ শিশু এসেছে। এখন মোট ৮৪ শিশু চিকিৎসাধীন আছে ।
“এদের মধ্যে ৫০ জন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও বাকি ৩৪ জন ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে আছেন। তাদের সবারই অবস্থা ভালো। ধীরে হলেও সবাই সুস্থতার পথে আছে।”
জুন মাসের শেষের দিকে শিশুরা অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হওয়া শুরু করলেও স্থানীয়ভাবে ঝাঁড়ফুক ও তাবিজ-কবজের মাধ্যমে শিশুদের সারিয়ে তোলার চেষ্টায় ছিলেন ত্রিপুরা পাড়ার দরিদ্র শ্রমজীবী বাসিন্দারা।
ঢাকা থেকে আসা ‘রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা’ প্রতিষ্ঠানের চার সদস্যের কমিটি প্রাথমিকভাবে দীর্ঘদিনের অপুষ্টিকে চিহ্নিত করে গেছেন। রক্তশূন্যতা, অপুষ্টি ও শরীরে পটাশিয়ামের অভাবকে এ রোগের জন্য দায়ী করা হয়।