হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার এক যুবক বুধবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ তথ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের ভাষ্য, গত ২১ জুন মো. লিটন (৩২) নামের এক যুবককে হত্যা করা হয়। পাঁচদিন পর গত সোমবার পতেঙ্গা মাইজপাড়া এলাকার একটি দোতালা ভবনের ছাদে কংক্রিট চাপা দেওয়া লিটনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পতেঙ্গা থানার এসআই থোয়াই চনু মার্মা জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে লিটনের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে লাশ শনাক্ত করেন তার স্ত্রী লাকী বেগম।
এ ঘটনায় লাকী বেগম মামলা করার পর মঙ্গলবার ভোরে মো. ইসমাইল (৩০) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান তিনি।
এসআই থোয়াই বলেন, গ্রেপ্তার ইসমাইল বুধবার হত্যার কথা স্বীকার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম শাহাদৎ হোসেনের আদালতে জবানবন্দি দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা থোয়াই জানান, নিহত লিটন সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার বাসিন্দা ও চট্টগ্রামে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেনঅ আর সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরের বাসিন্দা ইসমাইল নগরীতে রঙের কাজ করেন।
তিনি বলেন, “ইসমাইল জবানবন্দিতে জানিয়েছেন লিটন তার কাছ থেকে ২০০ টাকার ধার নিয়েছিলেন। বিভিন্ন সময়ে পাওনা টাকা চাইলেও লিটন তা না দিয়ে উল্টো তাকে ‘গালিগালাজ’ করেন।”
“ইসমাইল জানিয়েছেন, এর জেরেই গত ২১ জুন রাতে লিটনকে বাসা থেকে ডেকে নেন তিনি। পরে দুইজন এক সঙ্গে গাঁজা সেবন করেন। এক পর্যায়ে লিটনকে গলাকেটে হত্যা করেন ইসমাইল।”
এসআই থোয়ই জানান, যে ভবনের ছাদে লিটনের লাশ পাওয়া যায় সে মালিকের ভাড়া বাসায় থাকতেন ইসমাইল। ভবনের ছাদে লিটনকে হত্যা করে সেখানেই লাশ কংক্রিট চাপা দেন।