চট্টগ্রামের ঈদ জামাতে ‘ছাতা-জায়নামাজ ছাড়া অন্য কিছু নয়’

চট্টগ্রামে ঈদ জামাতে জায়নামাজ ও ছাতা ছাড়া অন্য কোনো কিছু না আনতে মুসল্লিদের আহ্বান জানিয়েছেন নগর পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার ইকবাল বাহার।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 June 2017, 09:00 AM
Updated : 25 June 2017, 09:00 AM

রোববার সকালে নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ জামে মসজিদ মাঠে ঈদ জামাতের প্রস্তুতি পরিদর্শন শেষে এ আহ্বান জানান তিনি।

মুসুল্লিদের অতিরিক্ত জিনিস বহন না করার আহ্বান জানিয়ে ইকবাল বাহার বলেন, “যেহেতু বৃষ্টির দিন, ছাতা ও জায়নামাজ ছাড়া অন্য কিছু আনবেন না। এমনকি মোবাইল ফোনটিও আনবেন না।

“আশা করি কোনো রূপ জঙ্গি তৎপরতা থেকে শুরু করে কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সম্ভাবনা নেই। তারপরেও কোনো কিছুকে ছোট করে না দেখে আমরা সর্বোচ্চ ভাবে প্রস্তুত আছি। কোনো আগাম সংবাদ পাওয়া গেলে যাতে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারি।”

বন্দরনগরীতে ৪০৩টি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে সিএমপি কমিশনার বলেন, “এগুলোর মধ্যে ১৩৭টিকে আমরা বড় জামাত হিসেবে বিবেচনা করে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।”

জমিয়াতুল ফালাহ জামে মসজিদ ও আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের ঈদ জামাতকে নগরীর বড় জামাত বিবেচনা করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

ইকবাল বাহার আরও জানান, জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদের ঈদগাহ তিনটি প্রবেশ পথে আর্চওয়ে ও মেটোল ডিটেক্টর থাকবে এবং সবাই চেক হয়ে ঢুকবে।

ঈদের ফাঁকা নগরীতে পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার।

তিনি বলেন, ঈদের দিন থেকে শুরু করে পরের দুই তিনদিন যে সমস্ত বিনোদন কেন্দ্রগুলো আছে সেখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। যাতে মানুষ উৎসবমুখর পরিবেশ নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে ঘোরা ফেরা করতে পারেন।

এদিকে নিরাপত্তার জন্য নগরীতে ৯০টি মোটর সাইকেল টিম, ফুট পেট্রোল ও গাড়ি নিয়ে পেট্রোল টিম থাকবে বলে জানান কমিশনার।

থানায় টাকা রেখে যেতে ব্যবসায়ীদের আহ্বান

বেশি টাকা বহন না করার জন্য ব্যবসায়ীদের পরামর্শ দিয়ে সিএমপি কমিশনার বলেন, ব্যবসায়ীরা রাতে বা ভোরে দোকান বন্ধ করার পর যেহেতু ব্যাংকে টাকা রাখতে পারবেন না, সেহেতু জিডি করে থানায় টাকা রেখে যেতে পারবেন।