এজন্য ব্যাংক হিসাব খোলার পাশাপাশি চার সদস্যের একটি কমিটি করে দিয়েছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক মানজারুল মান্নান শনিবার বিকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রাঙামাটি বা এর বাইরের জেলা থেকে ব্যক্তিগত অথবা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মানবিক সহায়তা করতে চাইলে তা জেলা প্রশাসনের মাধ্যমেই করতে হবে। এখানে আলাদাভাবে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।”
অর্থ সাহায্য নেওয়ার জন্য ইসলামী ব্যাংক রাঙামাটি শাখায় একটি ব্যাংক হিসাব খোলার তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, বেসরকারি উদ্যোগে দেওয়া সহায়তা বিতরণের বিষয়টি সমন্বয় করবে চার সদস্যের কমিটি।
“কেউ নগদ অর্থ সহায়তা দিতে চাইলে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে তা জমা দিতে হবে। রোববার রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইট ও ফেইসবুক পেইজের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট নম্বর জানিয়ে দেওয়া হবে।”
এর বাইরে কেউ ত্রাণসামগ্রী বিশেষ করে খাদ্যদ্রব্য ও কাপড় দিতে চাইলে তা প্রশাসনের কমিটির কাছে জমা দিতে হবে বলে জানান মানজারুল মান্নান।
“কারণ কোনো আশ্রয়কেন্দ্রে হয়ত দুইশজন আছেন। কিন্তু কেউ হয়ত সেখানে ৫০ জনের সমপরিমাণ সহায়তা নিয়ে গেলেন। তখন ত্রাণ বিতরণের সময় সেখানে বিশৃঙ্খলা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকে। সেজন্য আগ্রহীদের জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণের অনুরোধ জানাচ্ছি আমরা।”
ত্রাণ সহায়তা নেওয়ার জন্য গঠিত সমন্বয় কমিটির সদস্যরা হলেন- নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহিদা আক্তার ও ফাতিমা আক্তার, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা বিশ্বনাথ মজুমদার এবং জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন।
গেল সপ্তাহে টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে পাহাড় ধসে রাঙামাটিতে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। পাহাড়ের মাটি চাপায় ধ্বংস হয়েছে অনেক ঘর-বাড়ি।
গৃহহীনদের পাশাপাশি ফের ধসের আশঙ্কায় রাঙামাটি জেলা জুড়ে প্রশাসনের ১৭টি আশ্রয় কেন্দ্রে আড়াই হাজারের বেশি মানুষ ঠাঁই নিয়েছেন।