শুক্রবার রাত ৯টা ২৫ মিনিট থেকে শুরু হবে চলতি বছরের চতুর্দশী তিথি; নিকটজনের মঙ্গল কামনায় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এ তিথিতে শিবস্নানসহ বিভিন্ন ধর্মীয় আচার পালন করবেন।
প্রতিবছরের মত এবারও এ উপলক্ষে চন্দ্রনাথ পাহাড় এলাকায় মেলা বসেছে। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া এ মেলা তিনদিন চলবে বলে সীতাকুণ্ড পৌরসভার প্যানেল মেয়র হারাধন চৌধুরী জানিয়েছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার থেকেই দেশি-বিদেশি ভক্ত ও পর্যটকরা সীতাকুণ্ডে জড়ো হতে শুরু করেছেন।
শুক্রবার রাতে শিব পূজা; এজন্য বেশিরভাগ পুণ্যার্থী বিকাল থেকে পাহাড়ে ওঠা শুরু করবেন। ব্যাসকুণ্ডে স্নান করে পাহাড়ে ওঠা শুরু করে প্রথমে ২০০ ফুট উঠে বীরুপক্ষ মন্দির দর্শন করবেন।
সব শেষে ১২শ’ ফুট উঁচু পাহাড়ের চূড়ায় উঠে চন্দ্রনাথের মন্দিরে যাবেন। রাতে সেখানেই শিবস্নান ও পুষ্পাঞ্জলি দেবেন ভক্তরা।
মেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হারাধন জানান, শুক্রবার মূল আয়োজন হলেও বৃহস্পতিবার থেকেই অনেকে পাহাড়ে উঠছেন।
“তাদের নিরাপত্তার জন্য পুরো এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে।”
সীতাকুণ্ড রেল স্টেশনের মাস্টার মতিলাল বড়ুয়া জানান, মেলা চলাকালে দর্শনার্থী ও পর্যটকদের সুবিধার জন্য নিয়মিত পাঁচটি ট্রেনের পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকটি ট্রেন সীতাকু্ণ্ডে যাত্রাবিরতি করবে।
ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী মহানগর এক্সপ্রেস ও চট্টলা এক্সপ্রেস, সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন ও পাহাড়িকা এক্সপ্রেস, ময়মনসিংহ থেকে চট্টগ্রামগামী বিজয় এক্সপ্রেস, চাঁদপুর থেকে চট্টগ্রামগামী মেঘনা এক্সপ্রেস এবং চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী ঢাকা মেইল সীতাকুণ্ডে থামবে।
মেলায় আসা দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় চার শতাধিক পুলিশের পাশাপাশি আরও ৫০০ স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করার কথা জানিয়েছেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সীতাকুণ্ড সার্কেল) রেজাউর রহমান।
তিনি বলেন, নিরাপত্তার পাশাপাশি চাঁদাবাজি রোধেও পুলিশকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
“রাস্তার পাশাপাশি পাহাড়ের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকরা মোতায়েন আছে। মেলায় আসা দোকান এবং গাড়ি পার্কিংয়ের ক্ষেত্রে কেউ যেন অতিরিক্ত টাকা আদায় করতে না পারে সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”