জাতীয়করণ করা বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের জন্য আলাদা বিধিমালার দাবি

জাতীয়করণ করা বেসরকারি কলেজের শিক্ষকদের জন্য আলাদা বিধিমালা প্রণয়ন করে দ্রুত বাস্তবায়ন না করলে কঠোর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে বাংলাদেশ বিসিএস শিক্ষা সমিতি।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Jan 2017, 01:54 PM
Updated : 16 Jan 2017, 01:54 PM

সোমবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সমিতির নেতারা বিধিমালা প্রণয়ন না হওয়ার পেছনে সংশ্লিষ্টদের গড়িমসিকে দায়ী করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির চট্টগ্রাম বিভাগের সহ-সভাপতি অধ্যাপক সুকুমার দত্ত।

তিনি বলেন, বেসরকারি কলেজের শিক্ষকদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট অনুশাসন ও শিক্ষানীতি-২০১০ এ সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকলেও সেটার বাস্তবায়ন ঘটছে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এ বিষয়ে গড়িমসিতে বিসিএস শিক্ষা পরিবারের ১৫ হাজার সদস্যরা উদ্বিগ্ন।

বেসরকারি কলেজ জাতীয়করণের বিষয়টিতে বিসিএস শিক্ষা সমিতি একমত জানিয়ে সুকুমার দত্ত বলেন, জাতীয়করণ করা কলেজসমূহের শিক্ষকদের জন্য পৃথক নিয়োগ, পদায়ন, পদোন্নতি, জ্যেষ্ঠতা ও পরিচালনাসহ তাদেরকে নন-ক্যাডারভুক্ত করার নীতিমালা প্রণয়ন করে তা শিগগির বাস্তবায়ন জরুরি।

অন্যথায় প্রতিযোগিতামূলক বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে যারা এ পেশায় যোগদান করেছেন তাদের মর্যাদা, ভাবমূর্তি ও স্বার্থহানি হবে বলে জানান তিনি।

সুকুমার দত্ত বলেন, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস নিয়োগ বিধিমালা ১৯৮১ অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট যোগ্যতা ও শর্তপূরণ করে ছয়টি প্রতিযোগিতামূলক ধাপ পার হয়ে বিসিএস ক্যাডার হিসেবে যোগদান করেছেন।

“আমরা লক্ষ্য করছি গত দুদশকে জাতীয়করণের সুযোগে বেসরকারি কলেজের শিক্ষকদের ক্যাডারভুক্ত করা হচ্ছে। বিসিএস শিক্ষা সমিতি নানা সময়ে বেআইনি এই ক্যাডারভুক্তি বন্ধের দাবি করে এলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।”

১৯৮১ সালে জাতীয়করণের বিধিমালায় এ ধরনের অন্তর্ভুক্তির সুযোগ না থাকলেও তাদের ক্যাডারভুক্ত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ সুকুমার দত্তের।

শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে দেখা করে এ বিষয়ে বিসিএস শিক্ষা সমিতির উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান তিনি।

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন ও শিক্ষানীতি-২০১০ এর নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা না হলে সমিতির ১৫ হাজার সদস্য নিয়ে কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেন অধ্যাপক সুকুমার দক্ত।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সচিব অধ্যাপক আবদুল মবিন, চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজের অধ্যক্ষ ঝর্ণা খানম ও বিসিএস শিক্ষা সমিতির চট্টগ্রাম বিভাগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।