আনুমানিক ১৬ বছর বয়সী ওই কিশোরীর নাম-পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।
শুক্রবার বিকালে এ ঘটনার পর ওই ভবন মালিক ও কিশোরীর গৃহকর্ত্রী বাসা থেকে পালিয়ে যায় বলে স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানিয়েছেন পাঁচলাইশ থানার এসআই পলাশ রুদ্র।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, বিকাল ৫টা ৪৭ মিনিটের দিকে ২ নম্বর মসজিদ কলোনি এলাকায় কেডিএস-শায়লা নামের ভবন থেকে পড়ে যায় ওই কিশোরী।
“নয় তলা ওই ভবনটির মালিক শায়লা বেগম। তার বিস্তারিত পরিচয় আমরা পাইনি।”
এসআই পলাশ রুদ্র বলেন, “শায়লা বেগম ভবনের আট তলায় থাকতেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। ওই বাসায় নিহত কিশোরী গৃহ পরিচারিকা হিসেবে কাজ করতে।
“বিকেলে আটতলার ব্যালকনি থেকে কিশোরী নিচে পড়ে যায়। এরপরই তাড়াহুড়ো করে শায়লা বেগমকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে চলে যেতে দেখেছেন এলাকার বাসিন্দারা।”
এদিকে স্থানীয়রা ওই কিশোরীকে ভবনের নিচে পড়ে থাকতে দেখে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়।
হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক পঙ্কজ বড়ুয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিকালে মসজিদ গলির কয়েকজন লোক ওই কিশোরীকে পড়ে থাকতে দেখে তাকে নিয়ে আসেন।
“চিকিৎসক ওই কিশোরীকে মৃত ঘোষণা করেছেন। কিন্তু কিশোরীটির কোনো পরিচয় আমরা জানতে পারিনি।”