বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে এক অনুষ্ঠানের বক্তব্য এই মন্তব্য করেন তিনি।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, “যখন আমি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলাম, তখন দেখেছি বিসিএস পরীক্ষায় কোনো যোগ্য লোক পাওয়া যায় না- মানে স্ট্যান্ডার্ড ক্যান্ডিডেট পাওয়া যায় না।
“আপনারা শুনে অবাক হবেন যে, ১৬ কোটি মানুষের দেশে দুই হাজার মানুষ নেওয়া হবে- সেখানেও কোনো যোগ্য লোক পাওয়া যায় না। এমনকি গ্রেস দিয়েও পাশ করাতে হয়। এ লজ্জা কোথায় রাখব আমরা।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ভর্তি পরীক্ষার উদাহরণ দিয়ে দুদুক চেয়ারম্যান বলেন, আপনারা সবাই জানেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ঘটনাটি। যেখানে পরীক্ষা দিয়ে শুধুমাত্র একজন ছাত্র টিকেছিল।
“শিক্ষার মান কমে গেছে। আপনারার এখানে যারা আছেন তারা সবাই বিষয়টা স্বীকার করবেন। শিক্ষা ব্যবস্থায় যদি পরিবর্তন না ঘটে তাহলে এ অবস্থা চলতে থাকবে।”
অনুষ্ঠানে সমবেতদের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে ইকবাল মাহমুদ বলেন, “আপনারা কি মনে করেন এসএসসি পরীক্ষার আগে যে টেস্ট পরীক্ষা নেওয়া হয়- সেখানে সবাই পাশ করে?
“কত শতাংশ পাশ করে শুনবেন? না শুনাব না, শুনালে আপনাদের মাথা হেট হয়ে যাবে।”
তিনি বলেন, “টেস্ট পরীক্ষার খাতা স্কুলে এক বছরের জন্য সংরক্ষণের নির্দেশনা আছে। সেটা কত জন মানে?”
তবে সরকার শিক্ষার অগ্রগতি ঘটাতে যথেষ্ট আন্তরিক বলে জানান সাবেক সচিব।
এ বছরের জুলাই থেকে দুদক শিক্ষাসহ তিনটি খাতে তিনটি জেলায় ক্রাশ প্রোগ্রাম করবে বলেও জানান সংস্থাটির চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম মহানগর, জেলা ও উপজেলায় শ্রেষ্ঠ দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির (সততা সংঘ) হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে দুদক মহাপরিচালক সামশুল আরেফিন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার রুহুল আমিন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ইকবাল বাহার ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।