দুর্গাপূজা: পর্যাপ্ত নিরাপত্তার আশ্বাস চট্টগ্রাম পুলিশের

চট্টগ্রামে দুর্গাপূজার মণ্ডপগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছে নগর পুলিশ।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Oct 2015, 01:36 PM
Updated : 8 Oct 2015, 01:36 PM

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম পূজা উদযাপন পরিষদের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এ আশ্বাস দেন সিএমপি কমিশনার আব্দুল জলিল মণ্ডল।

আগামী ১৯ অক্টোবর দেবীর বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গা পূজা।

এবছর চট্টগ্রাম নগরীতে ২২৯টি মণ্ডপে পূজা হবে। এছাড়াও অনেক স্থানে ব্যক্তিগতভাবেও পূজা উদযাপন হবে।

প্রতিবারের মতো এবছরও সুর্যাস্তের আগে বিসর্জন দিতে পূজা কমিটির নেতাদের অনুরোধ জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) এ কে এম শহীদুর রহমান।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, পূজার সার্বিক নিরাপত্তা তদারকির জন্য একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হবে এবং সেখানে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য ০৯৬৬৭৭১১৭৭ নম্বর খোলা থাকবে।

‘হ্যালো ওয়ার্ল্ড’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান পুলিশের কাজে সহায়তা করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে জানিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা শহীদুর বলেন, “কোথাও কোনো সমস্যা মনে হলে নম্বরটিতে ফোন করলে তারা তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করবে।”

প্রতিমা বিসর্জনে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে কোস্টগার্ড ও অগ্নিনির্বাপনের জন্য ফায়ার সার্ভিসের বিশেষ টিম প্রস্তুত থাকবে বলেও জানান তিনি।

নগর পুলিশের বিশেষ শাখার এক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, নগরীর পূজা মণ্ডপগুলোকে প্রাথমিকভাবে ‘সাধারণ’, ‘গুরুত্বপূর্ণ’ ও ‘অধিক গুরুত্বপূর্ণ’ এই তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

প্রতিটি মণ্ডপে ছয় থেকে নয়জন করে আনসার ও পুলিশ সদস্য এবং তিন থেকে চারটি মণ্ডপ মিলিয়ে একটি করে পেট্রোল টিম মোতায়েন করা হবে বলে জানান তিনি।

এছাড়াও নগরীতে পূজা মণ্ডপের নিরাপত্তায় দেড় হাজার পুলিশ ও আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।

নগর পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পূজার সময় সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ ও অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা নিশ্চিতের পাশাপাশি নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী মোতায়েনের জন্য মণ্ডপগুলোকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বৈঠকে অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) এ কে এম শহীদুর রহমান, অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) দেবদাস ভট্টাচার্য্য, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিদ্যালাল শীল, সাধারণ সম্পাদক রত্নাংকর দাস টুনু ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা ও পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।