সংঘর্ষের পর চবি ছাত্রলীগের এক পক্ষের স্মারকলিপি

গত মঙ্গলবারের সংঘর্ষের ঘটনায় সভাপতিকে বাদ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 August 2015, 04:38 PM
Updated : 27 August 2015, 04:38 PM

শাটল ট্রেন ও ক্যাম্পাসে ‘বিশৃঙ্খলাকারীদের’ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াসহ আট দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরীর কাছে স্মারকলিপি জমা দেয় তারা।

এসময় সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী সুজন উপস্থিত ছিলেন। 

সুজন ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে এই স্মারকলিপি দেওয়ার কথা বললেও সভাপতি আলমগীর টিপু বলেছেন, এ বিষয়ে কিছুই জানেন না তিনি।

আলমগীর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সভাপতিকে না জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের প্যাড ব্যবহার করে এভাবে স্মারকলিপি দেওয়া যায় না। এ স্মারকলিপির দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেবে না।”

গত ১৯ জুলাই আলমগীর টিপুকে সভাপতি এবং ফজলে রাব্বী সুজনকে সাধারণ সম্পাদক করে চবি ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় কমিটি।

তিন দিন পর ২২ জুলাই সংবাদ সম্মেলন করে টিপু ও সুজন নিজেদের মধ্যে কোনো কোন্দল নেই দাবি করে ক্যাম্পাসে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার ঘোষণাও দেন।

বিরোধ নিরসন ওই ঘোষণার এক মাসের মধ্যেই গত ২৫ আগাস্ট সোহরাওয়ার্দী হলের আসন ভাগাভাগি নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা।

এর একদিন পরই সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী সুজন ও তার অনুসারীরা প্রক্টরের কাছে আট দফা দাবিতে এ স্মারকলিপি দিল।

আট দফা দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- শাটল ট্রেনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ, ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে শিক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশ বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ, পর্যাপ্ত পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, রেল স্টেশনে সুপেয় পানি, আবাসিক হলগুলোতে সার্বক্ষনিক পানি ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা, হলের ডাইনিংয়ের খাবারের মান বৃদ্ধি।

সভাপতি টিপু চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের এবং সাধারণ সম্পাদক সুজন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।