এই জয়ের ফলে পাঁচ ওয়ানডের সিরিজ ৪-১ ব্যবধানে জিতলো দক্ষিণ আফ্রিকা।
বুধবার সেঞ্চুরিয়নের সুপার স্পোর্ট পার্কে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৪২ ওভারে ৩৬১ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। অধিনায়ক আমলা ১৩৩ এবং রুশো ১৩২ রান করেন।
জবাবে ৩৭.৪ ওভারে ২৩০ রানে অলআউট হয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
আগেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করা দক্ষিণ আফ্রিকার এ দিনের ইনিংসের শুরুটা ভালো ছিল না। দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে ফিরে যান চোট কাটিয়ে দলে ফেরা কুইনটন ডি কক।
দশম ওভারের শেষ বলে দলকে ৫৯ রানে রেখে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ফাফ দু প্লেসিও। তবে এরপর ক্যারিবীয় বোলারদের মুখের হাসি কেড়ে নেন আমলা ও রুশো জুটি। ২৮.৪ ওভার স্থায়ী জুটিতে দলীয় স্কোরে ২৪৭ রান যোগ করেন তারা।
আন্দ্রে রাসেলের বলে জোনাথন কার্টারের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে দ্বিতীয় ওয়ানডে শতক করেন রুশো। তার ৯৮ বলের ইনিংসটি ৯টি চার ও ৮টি ছক্কা সমৃদ্ধ। জোহানেসবার্গে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও শতক করেছিলেন তিনি।
ইনিংসের মাঝপথে আমলা কিছুটা ধীর গতিতে ব্যাট করলেও শেষ দিকে তিনিও বোলারদের উপর চড়াও হন। ৪১তম ওভারে রাসেলের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১০৫ বলের ঝড়ো ইনিংসে ১১টি চার ও ৬টি ছক্কা মারেন তিনি।
আমলার এটা ছিল ১৯তম ওয়ানডে শতক। গত সপ্তাহে জোহানেসবার্গেও শতক করেছিলেন তিনি।
স্বাগতিকদের পাহাড়সম ইনিংসে ডেভিড মিলারের ৯ বলে ২৩ এবং জেপি ডুমিনির ৭ বলে ১৮ রানের ঝড়ো ইনিংসের ভালো অবদান ছিল।
ক্যারিবীয়দের পক্ষে ৮৫ রানে ৩ উইকেট নেন রাসেল।
বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই পথ হারায় সফরকারীরা। প্রথম বলে ক্রিস গেইল আউট হয়ে গেলে দ্বিতীয় উইকেটে নরসিংহ ডিওনারাইন (৪৩) ও ডোয়াইন স্মিথ (৩১) লড়াইয়ের চেষ্টা করেন। ৭৭ রানের জুটি গড়েন তারা।
চতুর্থ উইকেটে মারলন স্যামুয়েলস ও দিনেশ রামদিনও চেষ্টা করেন, কিন্তু তাদের ৯১ রানের জুটি হারের ব্যবধানই শুধু কমায়।
সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন স্যামুয়েলস। রামদিন করেন ৪০ রান।
৪২ রানে ৪ উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন ওয়েইন পারনেল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৪২ ওভারে ৩৬১/৫ (ডি কক ৪, আমলা ১৩৩, দু প্লেসি ১৬, রুশো ১৩২, মিলার ২৩, ডুমিনি ১৮*, বেহারডিন ৫*; রাসেল ৩/৮৫, হোল্ডার ২/৭৭)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৩৭.৪ ওভারে ২৩০ (গেইল ০, ডিওনারাইন ৪৩, স্মিথ ৩১, স্যামুয়েলস ৫০, রামদিন ৪০, রাসেল ২৪, কার্টার ০, স্যামি ২৭, হোল্ডার ০, ব্রেথওয়েইট ১, কট্রেল ২*; পারনেল ৪/৪২, অ্যাবট ২/৫৯, ডি লাঞ্জ ১/৩৪, বেহারডিন ১/৪০, ফ্যাঙ্গিসো ১/৫৩)
ম্যাচ সেরা: রিলে রুশো (দক্ষিণ আফ্রিকা)
সিরিজ সেরা: হাশিম আমলা