১০১ রানের মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৮২ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। তখন মুশফিকুরের সঙ্গে জুটি বাধেন তাইজুল।
জয়ের জন্য বাংলাদেশের তখনো ১৯ রান প্রয়োজন ছিল। উইকেটে কিছু বলও নীচু হচ্ছিল। এই পরিস্থিতি খুব ভালোভাবে সামাল দেন ব্যাট হাতে নামা বোলার তাইজুল। ২৩ বলে দুটি চারে ১৫ রান করে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান তিনি। জয়সূচক বাউন্ডারিটিও তিনিই মারেন।
এর আগে বল হাতে জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় ইনিংস ধসিয়ে দেন তাইজুলই। ৩৯ রানে ৮ উইকেট নেন তিনি। প্রথম ইনিংসে পান একটি উইকেট। সব মিলিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কারটা তার অধিকারেই যায়।
ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিতে গিয়ে ব্যাট হাতে চাপ জয় করার রহস্য বলেন বাঁহাতি এই স্পিনার।
“আমার টার্গেট ছিল, মুশি ভাইকে (মুশফিকুর) সাপোর্ট দেব আর উল্টাপাল্টা কিছু করব না!”
সুদূর নাটোর থেকে উঠে আসা তাইজুল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কিভাবে মানিয়ে নিচ্ছেন। ধারাভাষ্যকারের এই প্রশ্নে তাইজুল বলেন, “কষ্ট কিছু হয়েছে, তবে আমি ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছি।”
মিরপুর টেস্টে নিজের সাফল্যের কৃতিত্ব সবাইকে ভাগ করে দেন তাইজুল।
“দর্শকরা পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ। অধিনায়ক ও সতীর্থ বড় ভাইদেরকেও ধন্যবাদ। সবার থেকেই সাহায্য পেয়েছি। দোয়া করবেন, আমি যেন আরো ভালো খেলতে পারি।”