ব্যাটিং ব্যর্থতায় বাংলাদেশের ছোট লিড

তিনটি অর্ধশতকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে প্রথম ইনিংসে বড় সংগ্রহের সম্ভাবনা জাগিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে ব্যক্তিগত ইনিংস বড় করায় ব্যাটসম্যানদের বরাবরের মতোই ব্যর্থতার জন্য তা আর হয়নি।

অনীক মিশকাতঅনীক মিশকাতবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Oct 2014, 04:11 AM
Updated : 26 Oct 2014, 02:24 PM

অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের বিদায়ের পর এক সময় তো লিড নেয়া নিয়েই শঙ্কা জাগে। শেষ পর্যন্ত ১৪ রানের ছোট্ট লিড আসে শেষ দিকের ব্যাটসম্যানদের কৃতিত্বে।

রোববার প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিন অর্ধশতক পেয়েছেন মুমিনুল হক, মাহমুদুল্লাহ ও মুশফিক। বাংলাদেশের আর কেউ ২০ রানও করতে পারেননি। তাই ২৫৪ রানে অলআউট হয়ে যায় স্বাগতিকরা।

জবাবে দিন শেষে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫ রান করে জিম্বাবুয়ে। ভুসি সিবান্দা ৫ ও রেগিস চাকাবভা শূন্য রানে অপরাজিত আছেন।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১ উইকেটে ২৭ রানে খেলা শুরু করা বাংলাদেশ শুরুতেই হারায় শামসুর রহমানকে। ড্রাইভ করতে গিয়ে মিডঅফে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।

তৃতীয় উইকেটে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে প্রতিরোধ গড়েন মুমিনুল হক। ৬৩ রানের সম্ভাবনাময় জুটি ভাঙে তার খামখেয়ালি রান আউটে। ব্যাট মাটিতে না নামিয়ে রান আউট হওয়ার আগে ৫৩ রান করে এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

মধ্যাহ্ন-বিরতির আগে মুমিনুলের বিদায়ে অস্বস্তিতে পড়া বাংলাদেশকে চাপে ফেলে সাকিব আল হাসানের রান আউট। একটু এগিয়ে গিয়ে ফেরার পথে থমকে যান সাকিব। সেই সুযোগে স্ট্যাম্প ভেঙে দিয়ে তার বিদায় নিশ্চিত করেন টেন্ডাই চাটারা।

১১৪ রানে চার উইকেট হারানো বাংলাদেশকে ভালো অবস্থানে নিয়ে গিয়েছিলেন মাহমুদুল্লাহ ও মুশফিকুর রহিম। অর্ধশতকে পৌঁছানোর পর অনিয়মিত স্পিনার সিকান্দার রাজার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে মাহমুদুল্লাহর বিদায়ে ভাঙে ৬৪ রানের জুটি।

আম্পায়ার রাজার আবেদনে সাড়া না দিলে রিভিউ নেয় জিম্বাবুয়ে। তাতে সিদ্ধান্ত পাল্টে মাহমুদুল্লাহকে আউট দেন আম্পায়ার। বাংলাদেশে এই প্রথম কোনো সিরিজে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা পদ্ধতি ব্যবহৃত হচ্ছে। এর প্রথম সুফলটি পেল অতিথি দল।

সাত নম্বরে নামা শুভাগত হোম চৌধুরী খেলছিলেন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে। কিন্তু হঠাৎ করেই তুলে মারতে গিয়ে মিডঅনে ক্যাচ দিয়ে তার বিদায়ে উজ্জ্বীবিত হয়ে উঠে জিম্বাবুয়ে শিবির।

দ্বিতীয় নতুন বলে পুল করতে গিয়ে মুশফিকের বিদায়ে স্বাগতিকদের ওপর চাপ আরো বাড়ে। টিনাশে পানিয়াঙ্গারার তৃতীয় শিকারে পরিণত হওয়ার আগে সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।

মুমিনুলের মতো মতো আলসেমি করে রান আউট হন শাহাদাত হোসেনও। লাইনের ওপর ব্যাট রেখে দিয়েছিলেন তিনি। সুযোগটা কাজে লাগাতে ভুল করেননি স্কয়ার লেগে ফিল্ডিং করা ক্রেইগ আরভিন।

২২৬ রানে ৮ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে লিড এনে দেয়ায় ভালো অবদান রাখেন ১৯ রানের ছোট্ট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলা তাইজুল ইসলাম। তার বিদায়ের পর বেশি দূর এগোয়নি বাংলাদেশের ইনিংস।

৫৯ রানে ৫ উইকেট নিয়ে পানিয়াঙ্গারা জিম্বাবুয়ের সেরা বোলার।

এর আগে সাকিব আল হাসানের মারাত্মক বোলিংয়ে প্রথম ইনিংসে ২৪০ রানে অলআউট হয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। ৫৯ রানে ৬ উইকেট নেন সাকিব।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

জিম্বাবুয়ে: ২৪০ (রাজা ৫১, আরনি ৩৪; সাকিব ৫/৫৯, জুবায়ের ২/৫৮) ৫/০ ও (সিবান্দা ৫*; চাকাবভা ০*)

বাংলাদেশ: ২৫৪ (তামিম ৫, শামসুর ৮, মুমিনুল ৫৩, মাহমুদুল্লাহ ৬৩, সাকিব ৫, মুশফিক ৬৪, শুভাগত ১৪, তাইজুল ১৯, শাহাদাত ০, জুবায়ের ৭*, আল-আমিন ৯; পানিয়াঙ্গারা ৫/৫৯, রাজা ১/১২, কামুনগোজি ১/৫১)