মুম্বাইয়ে রোববার ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের নাম ঠিক করা হয়। ইএসপিএনক্রিকইনফোর প্রতিবেদন অনুযায়ী বিসিসিআইয়ের প্রস্তাবিত কমিটিতে আছেন সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (সিবিআই) সাবেক প্রধান আরকে রাঘবন, কলকাতা হাই কোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি জেএন প্যাটেল এবং ভারতের সাবেক অলরাউন্ডার রবি শাস্ত্রী।
গত ১৬ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট আইপিএলের নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিতে গঠনমূলক ও সংশোধনমূলক ব্যবস্থা বের করতে বিসিসিআইকে নির্দেশ দেয়। রোববার বিসিসিআইয়ের সভায় এই বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে।
সভায় অংশ নেয়া কার্যনির্বাহী কমিটির বেশ কয়েকজন সদস্য ইএসপিএনক্রিকইনফোকে জানিয়েছেন, রাঘবন, প্যাটেল এবং শাস্ত্রীর তদন্তে কমিটিতে থাকা নিশ্চিত করেছে বিসিসিআই।
তবে বিসিসিআই সেক্রেটারি বলেন, “আমরা তিন সদস্যের কমিটি নিশ্চিত করে ফেলেছি। নামগুলো সুপ্রিম কোর্টের কাছে প্রস্তাব করা হবে। তবে আদালতের নিয়ম রক্ষার কারণে আমি তাদের নাম প্রকাশ করতে পারছি না।”
ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল টুর্নামেন্ট ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগে গত মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে শ্রীশান্তসহ রাজস্থান রয়্যালসের তিন ক্রিকেটারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারপর থেকে এ কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত অনেকের পরিচয় ফাঁস হতে থাকে, গ্রেপ্তার হন আরো কয়েকজন।
তারই ধারাবাহিকতায় প্রেপ্তার হন চেন্নাই সুপার কিংসের ‘প্রিন্সিপাল’ ও শ্রীনিবাসনের জামাই গুরুনাথ মায়াপ্পন। এরপর শ্রীনিবাসনের পদত্যাগের দাবি ওঠে। তখন বিসিসিআইয়ের এক জরুরি সভায় শ্রীনিবাসনকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
কিছুদিন পরই জামিনে মুক্তি পান মায়াপ্পন। শ্রীনিবাসনও বোর্ড প্রধানের দায়িত্বে ফেরেন। তবে পরে আদালতের রায়ে আবার দায়িত্ব ছাড়তে হয় তাকে। এর পর আপিল করেও বোর্ডে ফিরতে পারেননি শ্রীনিবাসন। উল্টো ফেঁসে গেছেন তিনি। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, আইপিএলে দুর্নীতি নিয়ে চালানো তদন্তে তার নামও উঠে এসেছে।
আদালত শ্রীনিবাসনকে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান থেকে সরে দাঁড়াতে বলার অন্তর্বতীকালীন আদেশ বলবৎ রাখে। এর সঙ্গে বিসিসিআইকে আইপিএল কেলেঙ্কারির নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য পদক্ষেপ ঠিক করে আদালতে যেতে বলে।