মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে ২০৪ রান করে ঢাকা। জবাবে ৮ উইকেটে ১৪২ রানেই থেমে যায় কোনোমতে একাদশ সাজানো খুলনার ইনিংস।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নাজিম উদ্দিন (১৮ বলে ২৭) ও রিকি ওয়েসেলসের (২৩ বলে ৩০) আক্রমণাত্মক ব্যাটিং খুলনাকে ভালো সূচনাই এনে দিয়েছিল। কিন্তু মোশাররফ হোসেনের ঘূর্ণিতে বিভ্রান্ত হয়ে ৬৭/১ থেকে ৬৭/৪ এ পরিণত হলে ভীষণ চাপে পড়ে যায় তারা।
এরপর আর খেলায় ফেরা হয় নি তাদের। আসিফ আহমেদের ২৯ ও ফরহাদ রেজার ১৭ রানের সুবাদে শেষ পর্যন্ত দেড়শ রানের কাছাকাছি যায় খুলনা।
৯ রানে ৪ উইকেট নিয়ে বাঁহাতি স্পিনার মোশাররফ ঢাকার সেরা বোলার।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় মোহাম্মদ আশরাফুল (১১ বলে ২২) ও জশুয়া কবের (৮ বলে ১৭) আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয় গত আসরের চ্যাম্পিয়নদের ভালো সূচনা এনে দেয়।
৪ ওভার ৩ বলে দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান সাজঘরের পথ ধরলেও তৃতীয় জুটিতে এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে ওয়াইজ শাহর ৯০ রানের জুটি ঢাকাকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেয়।
অর্ধশতকে পৌঁছানোর পর এনামুলকে (৫০) নাবিল সামাদের ক্যাচে পরিণত করে ১০ ওভার ১ বল স্থায়ী জুটি ভাঙ্গেন ডলার মাহমুদ। এনামুলের ৩৯ বলের ইনিংসে ৩টি ছক্কা ও ৪টি চার।
চতুর্থ উইকেটে সাকিব আল হাসানের (১৪ বলে অপরাজিত ২৭) সঙ্গে ৫ ওভার ২ বলে ৬৪ রানের আরেকটি ভালো জুটি দলকে উপহার দেন ম্যাচ সেরা ওয়াইজ শাহ। শেষ বলে আউট হওয়ার আগে ৮৪ রান করেন তিনি। তার ৪৭ বলের ইনিংসটি ৬টি ছক্কা ও ৪টি চার সমৃদ্ধ।
৪০ রানে ৩ উইকেট নিয়ে খুলনার সেরা বোলার ডলার।
মাঠের লড়াইয়ের প্রথম দিন গ্যালারি ছিল প্রায় ফাঁকা।