ব্যাটিং-বোলিং ব্যর্থতায় বাংলাদেশের হার

দারুণ বোলিং করেছেন মুস্তাফিজুর রহমান, নিয়েছেন ২ উইকেট। তাসকিন আহমেদকে পেছনে ফেলে এই ম্যাচে খেলা রুবেল হোসেনও নিয়েছেন ২ উইকেট। কিন্তু অন্য বোলারদের কাছ থেকে খুব একটা সহায়তা পাননি তারা। ত্রিদেশীয় সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে নিউ জিল্যান্ডের কাছে ৪ উইকেটে হেরেছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।

অনীক মিশকাতঅনীক মিশকাতবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 May 2017, 09:21 AM
Updated : 17 May 2017, 05:45 PM

নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের সামনে সুযোগ ছিল ২৫৮ রানের বড় লক্ষ্য দেওয়ার। থিতু হয়ে ফিরেছেন সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম, দুই অঙ্কেই যেতে পারেননি সাব্বির রহমান, সাকিব আল হাসান। লক্ষ্যটা তাই নিউ জিল্যান্ডের নাগালেই ছিল।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৫৭/৯ (তামিম ২৩, সৌম্য ৬১, সাব্বির ১, মুশফিক ৫৫, সাকিব ৬, মাহমুদউল্লাহ ৫১, মোসাদ্দেক ৪১, মিরাজ ৬, মাশরাফি ১, রুবেল ০*, মুস্তাফিজ ০*; রান্স ০/৬৬, বেনেট ৩/৩১, স্যান্টনার ১/৩৭, নিশাম ২/৬৮, সোধি ২/৪০, মানরো ০/১৪)।

নিউ জিল্যান্ড: ৪৭.৩ ওভারে ২৫৮/৬ (ল্যাথাম ৫৪, রনকি ২৭, ওয়ার্কার ১৭, টেইলর ২৫, ব্রুম ৪৮, নিশাম ৫২, মানরো ১৬*, স্যান্টনার ৫*; মাশরাফি ১/৫৮, সাকিব ০/৫০, মুস্তাফিজ ২/৩৩, মিরাজ ০/৪৫, মাহমুদউল্লাহ ০/৮, মোসাদ্দেক ০/৭, রুবেল ২/৫৩)

নিশামকে ফেরালেন মাশরাফি

আগের পাঁচ ওভারে খরুচে বোলিং করা মাশরাফি বিন মুর্তজা ফিরিয়েছেন জিমি নিশামকে। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান মিড উইকেট দিয়ে উড়ানোর চেষ্টায় ধরা পড়েন মোসাদ্দেক হোসেনের হাতে।

৪৮ বলে ৫টি চার ও একটি ছক্কায় ৫২ রান করে নিশামের বিদায়ের সময় নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ২৪১/৬। জয়ের জন্য শেষ ৪ ওভারে ১৭ রান চাই দলটির।

বিপজ্জনক জুটি ভাঙলেন রুবেল

নিল ব্রুমকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে ৮০ রানের জুটি ভেঙেছেন রুবেল হোসেন। ফুলটস বল লেগে খেলতে গিয়ে ব্যাট ছোঁয়াতে পারেননি নিউ জিল্যান্ডের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। ৬৫ বলে খেলা তার ৪৮ রানের ইনিংসটি গড়া চারটি চারে।

৪৩ ওভার শেষে নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ২২৭/৫। জয়ের জন্য শেষ ৭ ওভারে ৩১ রান চাই তাদের।

ব্রুম-নিশামের ব্যাটে জয়ের পথে নিউ জিল্যান্ড

নিল ব্রুম ও জিমি নিশামের ব্যাটে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয়ের পথে রয়েছে নিউ জিল্যান্ড। অবিচ্ছিন্ন পঞ্চম উইকেটে দুই জনে গড়েছেন অর্ধশত রানের জুটি।

৪১ ওভার শেষে নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ২১৭/৪। ব্রুম ৪২ ও নিশাম ৪০ রানে রানে অপরাজিত। দুই জনে ১০.৩ ওভারে গড়েছেন ৭০ রানের জুটি।

মুস্তাফিজের দ্বিতীয় শিকার টেইলর

রস টেইলরকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন মুস্তাফিজুর রহমান। এই বাঁ-হাতি পেসারের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরার আগে ৪০ বলে ২৫ রান করেন টেইলর।

টেইলর ফেরার সময় নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ১৪৭/৪।  

রুবেলের দারুণ ডেলিভারিতে ফিরলেন ল্যাথাম

দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া টম ল্যাথামকে বিদায় করেছেন রুবেল হোসেন। দারুণ এক ডেলিভারিতে ব্যাটের কানায় লেগে মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসবন্দি হয়েছেন নিউ জিল্যান্ডের বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান।

৬৪ বলে তিনটি চার ও একটি ছক্কায় ৫৪ রান করে ল্যাথাম ফেরার সময় নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ১১০/৩। রস টেইলরের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছেন নিল ব্রুম।

সাকিবের দারুণ ফিল্ডিংয়ে ভাঙল জুটি

১ রানে মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে জীবন পাওয়া জর্জ ওয়ার্কার ফিরেন রান আউট হয়ে। মোসাদ্দেক হোসেনের বল টম ল্যাথাম অফে খেলার পর রানের জন্য দৌড়ান দুই ব্যাটসম্যান। ছুটে এসে সাব্বির রহমান উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমকে থ্রো করার সময় অনেক দূরে ছিলেন ওয়ার্কার। ঝাঁপিয়ে বাঁচার চেষ্টা করেছিলেন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। রান আউটের সুবর্ণ সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি মুশফিক।

২৪ বলে একটি ছক্কায় ১৭ রান করে ওয়ার্কার ফেরার সময় নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ৮০/২। ল্যাথামের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছেন রস টেইলর।

ওয়ার্কারকে জীবন দিলেন মিরাজ

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আগের ম্যাচে অর্ধশতক করা জর্জ ওয়ার্কারকে জীবন দিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের ফিরতি ক্যাচ দুই হাতে তালুবন্দি করতে পারেননি এই তরুণ। সে সময়ে ১ রানে ব্যাট করছিলেন ওয়ার্কার।

প্রথম আঘাত মুস্তাফিজের

মুস্তাফিজুর রহমানের আগের ওভারে একটুর জন্য কানা না নেওয়ায় বেঁচে যান লুক রনকি। আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করা নিউ জিল্যা্ডের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান টিকেননি পরের ওভারে। স্লোয়ার বলে বিভ্রান্ত করে দলকে প্রথম সাফল্য এনে দেন বাঁহাতি পেসার।

মুস্তাফিজের বল বুঝতেই পারেননি উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান রনকি। ব্যাটের কানায় লেগে আকাশ উঠে যাওয়া ক্যাচ মিড অফে তালুবন্দি করেন মাহমুদউল্লাহ। ২৭ বলে চারটি চার ও একটি ছক্কায় ২৭ রান করে ফিরেন রনকি।

৭ ওভার স্থায়ী নিউ জিল্যান্ডের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে ৩৯ রানে। জয়ের জন্য তখনও দলটির প্রয়োজন ২১৯ রান।

রাশ টানলেন মুস্তাফিজ

মাশরাফি বিন মুর্তজার দ্বিতীয় বলে কাভার দিয়ে এসেছে চার, তৃতীয় বল উড়েছে স্কয়ার লেগ দিয়ে- ছক্কা। অধিনায়কের দুই ওভার থেকে এলো ১৮ রান।  প্রথম ওভারেই সুরটা ঠিক করে নেওয়া নিউ জিল্যান্ডের রানের গতিতে রাশ টেনেছেন মুস্তাফিজুর রহমান।

৫ ওভার শেষে নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ২৭/০। জয়ের জন্য দলটির প্রয়োজন আরও ২৩১ রান।

তিন ফিফটিতে বাংলাদেশ ২৫৭

ভালো শুরুর পর নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে আবার দিক হারিয়েছে বাংলাদেশ। থিতু হয়েও ব্যাটসম্যানরা খেলতে পারেননি বড় ইনিংস। তার মাঝেই সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহর তিনটি অর্ধশতকে মাশরাফির দল গড়েছে লড়াইয়ের পুঁজি। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে করেছে ২৫৭ রান।

প্রতিবার ধাক্কা সামাল দিয়ে রানের গতি বাড়ানোর মুহূর্তে উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। ঝড় তুলতে পারেননি কেউই।

কোনো ক্যাচ হাতছাড়া হয়নি কিন্তু গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়ে নিজেদের মান থেকে এদিন বহুদূরে ছিল নিউ জিল্যান্ড। হাত ফস্কে হয়েছে অনেকগুলো চার।

দুই স্পিনার ইশ সোধি ও মিচেল স্যান্টনার ভুগিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। বোলারদের মধ্যে সেরা ছিলেন তিন বছরের বেশি সময় পর ওয়ানডে খেলতে নামা হ্যামিশ বেনেট। ৩ উইকেট নিয়েছেন ৩১ রানে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৫৭/৯ (তামিম ২৩, সৌম্য ৬১, সাব্বির ১, মুশফিক ৫৫, সাকিব ৬, মাহমুদউল্লাহ ৫১, মোসাদ্দেক ৪১, মিরাজ ৬, মাশরাফি ১, রুবেল ০*, মুস্তাফিজ ০*; রান্স ০/৬৬, বেনেট ৩/৩১, স্যান্টনার ১/৩৭, নিশাম ২/৬৮, সোধি ২/৪০, মানরো ০/১৪)।

শেষ ওভারে ৩ উইকেট

হ্যামিশ বেনেটের করা শেষ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন মোসাদ্দেক হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ। রান আউট হয়েছেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। ওই ওভার থেকে এসেছে মোটে ৪ রান।

আড়াইশ ছাড়িয়ে বাংলাদেশ

৪৯তম ওভারে আড়াইশ ছাড়িয়েছে বাংলাদেশের সংগ্রহ। পরের ওভারের প্রথম বলে ফিরেছেন তরুণ মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান মোসাদ্দেক হোসেন। ৪১ বলে খেলা তার ৪১ রানের ইনিংসটি গড়া ৬টি চারে।

হ্যামিশ বেনেটের করা শেষ ওভারে মোসাদ্দেকের পর ফিরেন তরুণ অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজও।

দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় মাহমুদউল্লাহর বিদায়

সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিমের পর তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে অর্ধশতক করে ফিরেছেন মাহমুদউল্লাহ। শেষের দিকে রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টায় হ্যামিশ বেনেটের শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে তুলে দিয়েছেন আকাশে।

৫৬ বলে ৬টি চারে ৫১ রান করে মাহমুদউল্লাহ বিদায় নেওয়ার পর মোসাদ্দেকের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৪৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২৪৪/৬।

মাহমুদউল্লাহর অর্ধশতক

নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজ ভুলে যেতে চাইতেই পারেন মাহমুদউল্লাহ। তিন ম্যাচের সেই সিরিজে সব মিলিয়ে করেছিলেন ৪ রান। দারণ এক অর্ধশতকে সেই ব্যর্থতা খানিকটা হয়তো ভুলেছেন তিনি।

সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিমের পর বাংলাদেশের তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে এই ম্যাচে পঞ্চাশ ছুঁলেন মাহমুদউল্লাহ।  ৫৪ বলে ৬টি চারে এলো তার অর্ধশতক।

পাঁচে উঠল রান রেট

৪৬তম ওভারে এসে প্রথমবারের মতো পাঁচে যায় বাংলাদেশের রান রেট। এতে বড় অবদান মাহমুদউল্লাহ-মোসাদ্দেক হোসেনের। ষষ্ঠ উইকেটে তাদের অর্ধশত রানের জুটিতে লড়াইয়ের পুঁজি গড়ছে বাংলাদেশ।

৪৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২৩৪/৪।

বাংলাদেশের দুইশ

রানের গতি বাড়ানোর মুহূর্তে উইকেট হারানোয় প্রতিবার পিছিয়ে যেতে হয়েছে বাংলাদেশকে। ২১তম ওভারে একশ রানে পৌঁছানো দলটির সংগ্রহ দুইশ ছুঁয়েছে ৪৩তম ওভারে।

৪৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২০৭/৫। মাহমুদউল্লাহ ৪২ ও মোসাদ্দেক হোসেন ১৩ রানে টিকে আছেন।

অর্ধশতক করে মুশফিকের বিদায়

সৌম্যর মতো অর্ধশতকের পর ইনিংস বড় করতে পারলেন না মুশফিকুর রহিম। জেমস নিশামের আগের ওভারে চার হাঁকিয়ে অর্ধশতকে পৌঁছানো মুশফিকুর ফিরেন পরের ওভারে। ডান হাতি পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে সহজ ক্যাচ দেন উইকেটরক্ষক লুক রনকিকে।

৬৬ বলে চারটি চার ও একটি ছক্কায় মুশফিক ফিরেন ৫৫ রান করে। তার বিদায়ে ভাঙে ৪৯ রানের পঞ্চম উইকেট জুটি।

৩৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৮৬/৫। ৩৩ রানে ব্যাট করা মাহমুদউল্লাহ সঙ্গে যোগ দিয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন।

সাকিবের দ্রুত বিদায়ে চাপে বাংলাদেশ

ইশ সোধিকে পরপর দুই বলে সুইপ করলেন সাকিব আল হাসান। শর্ট ফাইন লেগে দুবারই ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দিলেন রস টেইলর। পরের বলে নতুন শট খেলতে গেলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান, এবার মিডঅফে ক্যাচ গেল জেমস নিশামের হাতে।

১৪ বলে একটি চারে ৬ রান করে ফিরেন সাকিব। তার বিদায়ের সময় দলের স্কোর ১৩২/৪। মুশফিকুর রহিম ৩৬ রানে অপরাজিত। তার সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ।

থিতু হয়ে সৌম্যর বিদায়

আরও একবার সুযোগ হারালন সৌম্য সরকার। থিতু হয়েও বড় করতে পারলেন না নিজের ইনিংস। চমৎকার ব্যাটিংয়ে অর্ধশতক পাওয়ার পর ফিরলেন ষাটের ঘরে গিয়েই।

লেগ স্পিনার ইশ সোধিকে সুইপ করতে গিয়ে টাইমিং হয়নি, ব্যাটের কানায় লেগে আকাশে উঠে যাওয়া ক্যাচ মুঠোয় জমান অধিনায়ক টম ল্যাথাম। ৬৭ বলে ৬১ রান করতে পাঁচটি চার হাঁকান সৌম্য।

২৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১১৮/৩। মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সাকিব আল হাসান।

বাংলাদেশের একশ

তামিম ইকবাল, সাব্বির রহমানের দ্রুত বিদায়ের পর বাংলাদেশ প্রতিরোধ গড়েছে সৌম্য সরকার ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে। দুই জনে ২১তম ওভারে দলের সংগ্রহ নিয়ে গেছেন তিন অঙ্কে।

২১ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১০১/২। সৌম্য ৫৬ ও মুশফিক ১৬ রানে ব্যাট করছেন।

শূন্যর পর সাব্বিরের ১

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে শূন্য রানে ফেরা সাব্বির রহমান ব্যর্থ নিজের দ্বিতীয় ইনিংসেও। বাঁহাতি স্পিনার মিচেল স্যান্টনারের স্কিড করা বল পিছিয়ে গিয়ে খেলতে গিয়ে পারেননি। ব্যাট ফাঁকি দিয়ে আঘাত হানে স্টাম্পে।

১ রান করতে চার বল খেলেন সাব্বির। তার বিদায়ের সময় দলের স্কোর ৭৯/২।  সৌম্য সরকার টিকে আছেন অর্ধশতক করে। যোগ দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম।

তামিমের বিদায়, সৌম্যর অর্ধশতক

জেমস নিশামের অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বলটি মারারই ছিল। টাইমিংয়ে গড়বড় করে যেখানে পাঠাতে চেয়েছিলেন ততদূর পর্যন্ত নিতে পারেননি তামিম ইকবাল। কাভার সীমানায় সহজ ক্যাচ তালুবন্দি করেন কলিন মানরো।

৪২ বলে তিনটি চারে ২৩ রান করে ফিরেন তামিম। বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের বিদায়ে ভাঙে ৭২ রানের উদ্বোধনী জুটি।

সেই ওভারের শেষ বলে এক রান নিয়ে অর্ধশতকে পৌঁছান সৌম্য। বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের পঞ্চাশ আসে ৫৩ বলে, চারটি চারে।

১৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৭৮/১।

তামিম-সৌম্য জুটিতে অর্ধশতক

দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের দুই মেজাজের ব্যাটিংয়ে একাদশ ওভারে অর্ধশতকে পৌঁছায় বাংলাদেশের সংগ্রহ। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৭০ রানে ৪ উইকেট হারানো দলটি কোনো উইকেট না হারিয়ে পঞ্চাশ ছাড়ায়।

১১ ওভার শেষে বাংলাদেশর স্কোর ৫২/০। তামিম ইকবাল ৩১ বলে ১৬ ও সৌম্য সরকার ৩৫ বলে ৩৫ রানে খেলছেন।

আক্রমণাত্মক সৌম্য, ধীরস্থির তামিম

দেখেশুনে খেলছেন তামিম ইকবাল। নিজেকে গুটিয়ে রেখেছেন বাংলাদেশের সেরা উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্রুত ফেরা সৌম্য সরকার বাজে বল পেলেই চড়াও হচ্ছেন। দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান দলকে এনে দিয়েছেন ভালো সূচনা। ৯ ওভার শেষে দলের স্কোর ৩৮/০।

একাদশে একটি পরিবর্তন

তিন পেসার নিয়ে একাদশ সাজিয়েছে বাংলাদেশ। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকে জায়গা দিতে গিয়ে বাদ পড়েছেন আরেক পেসার তাসকিন আহমেদ। শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশের সর্বশেষ সিরিজে তিন ওয়ানডেতে একটি হ্যাটিট্রকসহ ৬ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। 

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে পরিত্যক্ত হওয়া প্রথম ওয়ানডের বাংলাদেশ দল থেকে পরিবর্তন এই একটিই।

বাংলাদেশ দল: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মোসাদ্দেক হোসেন, মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), রুবেল হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান।

টসে হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

অধিনায়ক বদল হয়েছে, তবে টস ভাগ্যে বদল হয়নি। ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেও টস হেরে ব্যাটিং পেয়েছে বাংলাদেশ।

অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা জানিয়েছেন, টস জিতলে সিদ্ধান্ত কি নেবেন তা নিয়ে লম্বা আলোচনা হয়েছে তাদের মধ্যে। জিতলে ফিল্ডিং নিতেন, তবে এই উইকেটে আগে ব্যাটিং করে ডিফেন্ড করার মতো বড় স্কোর করা সম্ভব।

একটি প্রথমের সন্ধানে মরিয়া বাংলাদেশ

নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে বা নিরপেক্ষ ভেন্যুতে কখনও দেশটিকে ওয়ানডেতে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে সেই জয়ের স্বাদ পেতে মরিয়া মাশরাফি বিন মুর্তজা। এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে এই ম্যাচ দিয়ে ফিরছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।

ত্রিদেশীয় সিরিজে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিকদের ৫১ রানে হারায় নিউ জিল্যান্ড।