মাশরাফির কাছে পার্থক্য ব্যাটিংয়ে

শ্রীলঙ্কার বর্তমান দলটির চেয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। অধিনায়কের কাছে দুই দলের সবচেয়ে বড় পার্থক্য ব্যাটিংয়ে।

ক্রীড়া প্রতিবেদক ডাম্বুলা থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 March 2017, 01:05 PM
Updated : 27 March 2017, 03:10 PM

তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ, সাব্বির রহমান, মোসাদ্দেক হোসেনে গড়া ব্যাটিং লাইনআপকে নিজ দলের সবচেয়ে বড় শক্তির জায়গা মনে করেন মাশরাফি। ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দেখেন অমিত সম্ভাবনা। সেই সঙ্গে তাদের ইনিংস বড় করতে না পারা নিয়ে আছে খানিকটা দুর্ভাবনাও। 

“ব্যাটিং নিয়ে আমাদের চিন্তার জায়গা একটাই- থিতু হয়ে আউট হওয়া। আমাদের ব্যাটসম্যানদের ৫০/৬০ অনেকগুলো করে আছে। আমরা চাই এই জায়গাটায় উন্নতি করুক। কেউ যদি তত দূর যায় সে যেন একশ করে।”

প্রথম ওয়ানডেতে সেই কাজ করতে পেরেছেন তামিম। সুযোগ ছিল সাব্বিরের সামনেও। কিন্তু পারেননি তরুণ এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান।

“আমরা চাই, থিতু হওয়া ব্যাটসম্যানরা যেন বড় শতক করতে পারে। আমাদের জন্য বলতে পারেন এটা শেখার সময়। আগের ম্যাচে তামিম করেছে, সাব্বির হারিয়েছে। আমরা এই জায়গায় উন্নতি করতে চাই। তাহলে হবে কি, কেউ যদি বড় শতক করতে পারে, ৫০ রানকে শতকে নিয়ে যেতে পারে, তখন ম্যাচ জেতা সহজ হয়ে যায়।”

তামিমের ১২৭ রানের ইনিংসকে অন্য সতীর্থদের উদাহরণ হিসেবে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মাশরাফি। 

“এটা আমাদের জন্য ভালো শিক্ষা। আমাদের ব্যাটসম্যানদের শিখতে হবে যে, ৫০ রানকে কিভাবে একশ রানে পরিণত করতে হয়। অন্যান্য দল প্রতিনিয়ত তিনশ রান করে কি জন্য? একজন ব্যাটসম্যান যখন ৬০ রান করে বা ৫০ রান করে, তখন সে একশ রানের আগে খেলাটা ছাড়ে না। যদি না খুব অসাধারণ কোনো ডেলিভারি হয়। আমার মনে হয়, এটাই সঠিক প্রক্রিয়া।”

নিউ জিল্যান্ড সিরিজে এমন অসংখ্য সুযোগ নষ্ট করেছে বাংলাদেশ। চমৎকার শুরু পাওয়ার পরও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছে মাশরাফির দল। অধিনায়ক মনে করেন, থিতু একজন ব্যাটসম্যান খেলাটা শেষ পর্যন্ত নিয়ে গেলে শেষটায় ঝড় তোলাও সম্ভব হয়।

“এই যে গত ম্যাচে ৩২৭ রান হল, সেটাও তামিমের ওই ইনিংসের কারণেই। তামিম এবার ৫০/৬০ রান করে আউট হয়নি। যদি ও ৫০/৬০ রানে আউট হতো আপনি নিশ্চিত থাকেন, ওই রানটা হতো ২৭০ থেকে ২৮০। আমার মনে হয়, অন্যান্য দলের সঙ্গে পার্থক্য তখনই হয়ে যায়। ওই ৩০-৪০ রানই পার্থক্য থেকে যায়।”

তামিমের গড়ে দেওয়া ভিত প্রথম ওয়ানডেতে দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন ও মাহমুদউল্লাহ। অধিনায়ক বারবার এর পুনরাবৃত্তি দেখতে চান।

“ওরা যে সেদিন অমন ব্যাটিং করতে পারলো সেটাও তামিমের ইনিংসের কারণেই। শেষের দিকে পুরোপুরি চাপহীন ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছে। একজন শেষ পর্যন্ত থাকলে সব সময়ই দলের ভালো করার সম্ভাবনা বেশি থাকে।”