২০১৪ সালে দলে ফেরার পর থেকে টেস্টে দারুণ সফল ইমরুল। বাঁহাতি এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান সর্বশেষ ১১ টেস্টে তিনটি করে শতক-অর্ধশতকসহ ৪৯.০৫ গড়ে করেছেন ৮৮৩ রান।
নিজের প্রথম ১৬ ম্যাচে নিজেকে মোটেও মেলে ধরতে পারেননি ইমরুল। সে সময় ১৬ টেস্টের ৩২ ইনিংসে মাত্র ১৭.১৫ করে সংগ্রহ করেছিলেন ৫৪৯ রান। সেরা ৭৫, ওই একবারই পেয়েছিলেন অর্ধশতক। সেখান থেকে নিজের খেলার অনেক উন্নতি করেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। পরিশ্রমী ক্রিকেটার পাশেই পেয়েছেন অধিনায়ককে।
“(উদ্বোধনী জুটি নিয়ে কোনো দুর্ভাবনা আছে কী না?) নাহ, আমার মনে হয় না। ইমরুল গত বছর অনেক রান করেছে। আর ও কিন্তু তামিমের পরই আমাদের অটোমেটিক চয়েজ। আমার মনে হয়, তার কোনো বিকল্প আমাদের দলে নেই।”
নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েলিংটন টেস্টে মুশফিক আঙুলে চোট পাওয়ার পর প্রায় দেড়শ’ ওভার কিপিং করেন ইমরুল। পরে ইনিংস উদ্বোধনও করেন তিনি। দ্রুত এক রান নিতে গিয়ে ঊরুর পেশিতে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
দলের বিপদ দেখে শেষের দিকে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ব্যাটিংয়েও নেমেছিলেন ইমরুল। গ্লাভস হাতে গড়েছিলেন বিশ্ব রেকর্ড। আর কোনো বদলি উইকেটরক্ষকের টেস্টে ইনিংসে সেই ৫ ডিসমিসাল।
ইমরুলের জায়গায় সুযোগ পেয়ে ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে ৮৬ ও ৩৬ রানের দুটি ভালো ইনিংস খেলেন সৌম্য। টেস্টে এর আগে মিডলঅর্ডারে নিজেকে মেলে ধরতে না পারা তরুণ নিজের প্রিয় জায়গা ওপেনিংয়ে ফিরে দেখান সামর্থ্য। এদিকে ইমরুলও চোট থেকে সেরে উঠছেন, তাই ভারতে দুই জনের মধ্যে একজনকে বেছে নেওয়ার কঠিন পরীক্ষায় পড়তে হতে পারে বাংলাদেশকে।
“ইমরুলের চোটের পর সৌম্য দারুণ খেলেছে। এটা দারুণ ব্যাপার। আমাদের ভালো কিছু ব্যাকআপ খেলোয়াড় আছে।”