স্থানীয়দের পারফরম্যান্সে তামিমের হতাশা

চিটাগং ভাইকিংসকে জয় এনে দিতে হয় বিদেশি কোনো ক্রিকেটার নয়তো তামিম ইকবালের জ্বলে উঠতে হয়েছে। স্থানীয় ক্রিকেটাররা সেভাবে এগিয়ে আসতে না পারায় দলকে ভুগতে হয়েছে বলে মনে করছেন অধিনায়ক। তার বিশ্বাস, অন্যরাও যদি ঠিকঠাক সহায়তা করতো তাহলে এবারের বিপিএলটা তাদের জন্য ভিন্ন হতে পারতো।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Dec 2016, 01:12 PM
Updated : 7 Dec 2016, 11:56 AM

এলিমিনেটর ম্যাচে রাজশাহী কিংসের কাছে হেরে বিপিএল শেষ হয়েছে চিটাগংয়ের। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সতীর্থদের পারফরম্যান্সে নিজের আক্ষেপের কথা জানান তামিম।

“আমার মনে হয়, আমাদের স্থানীয় খেলোয়াড়রা যদি দলকে আরেকটু সহায়তা করতো আমরা আরও ভালো অবস্থায় থাকতাম।”

“অন্য দলগুলো যদি দেখেন ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, ওদের স্থানীয় খেলোয়াড়রা অনেক সহায়তা করে। এই জায়গায় আমাদের একটু  ঘাটতি ছিল। তবে ওদের ডেডিকেশন নিয়ে আমাদের কোনো সংশয় নেই, কিন্তু কোনো কারণে হয়তো পারেনি।”

৪৭৬ রান করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তামিম। এনামুল হক ১৩ ইনিংসে করেন ২৫০ রান। জহুরুল ইসলামের ১২ ইনিংসে আসে ১৬১ রান। দলটির স্থানীয় আর কোনো ব্যাটসম্যান একশ’ পর্যন্ত যেতে পারেনি।

রাজশাহীর কাছে হারের পর এককভাবে কারোর ওপর দায় চাপাননি অধিনায়ক, “আমরা ব্যাটিংয়ে ২০ রান কম করেছি। বোলিংয়েও কিছু ভুল হয়েছে। দিন শেষে এটাই বলব যে, খেলোয়াড়দের নিয়ে আমি গর্বিত। টুর্নামেন্টে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলেছি।”

নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে খুশি তামিম। কিন্তু দলকে শেষ পর্যন্ত নিয়ে যেতে না পারায় এই পারফর‌ম্যান্সের খুব একটা মূল্য নেই তার কাছে। এই টুর্নামেন্টেই প্রথমবারের মতো গেইলের সঙ্গে ব্যাটিংয়ের সুযোগ মেলে তামিমের। জানালেন গেইলের সঙ্গে ব্যাটিংয়ের অভিজ্ঞতার কথা।

“এটা ভিন্ন অভিজ্ঞতা। যে বলগুলো অন্য ব্যাটসম্যানরা এক বা দুই নেয়, ওগুলো ও ছয় মেরে দেয়। আমার জন্য একটু দুর্ভাগ্য হয়ত আমি বেশি দেখতে পারিনি। তবে যতটুকু দেখছি সেটা ছিল দুর্দান্ত।”

“ওর আচরণে আমি খুশি। ও মন প্রাণ দিয়ে চেষ্টা করেছে। সব ধরনের সাহায্য করার চেষ্টা করেছে। যেটা আমরা আশা করেছি সেটা হয়ত হতে পারেনি। তবে ওটা নিয়ে আমি আপসেট না। অন্য ১০ জন আরও ভালো করতে পারতাম।”