অস্ট্রেলিয়া সিরিজই শেষ দিলশানের

মনস্থির করে ফেলেছেন তিলকারত্নে দিলশান। অস্ট্রেলিয়া সিরিজ দিয়েই ইতি টানবেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের। ৯ সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হবে দেশের হয়ে তার শেষ। এর আগে রোববারের ম্যাচ দিয়ে বিদায় জানাবেন ওয়ানডে ক্রিকেটকে। 

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 August 2016, 03:48 PM
Updated : 25 August 2016, 03:48 PM

অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও নির্বাচকরা ২০১৯ বিশ্বকাপের দল গঠনের কাজ শুরু করতে চান। তাই অবসর নেওয়ার চাপ ছিল দিলশানের ওপর। যদিও গত কয়েক বছর ধরে দারুণ ছন্দে আছেন এই মারকুটে ব্যাটসম্যান। ২০১৩ সালের শুরু থেকে ৪৯.১৮ গড়ে রান করছেন ওয়ানডেতে। গত বছর ছিলেন সবচেয়ে সফল, ৫২.৪৭ গড়ে করেছেন ১ হাজার ২০৭ রান। 

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম দুই ওয়ানডেতে ২২ ও ১০ রান করে আউট হওয়ার পর অবসরের সিদ্ধান্ত নেন দিলশান। যা আনুষ্ঠানিকভাবে জানান বৃহস্পতিবার। ১৯৯৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেকের পর প্রথম ১০ বছর লোয়ার মিডল অর্ডারে ব্যাট করেন দিলশান। ২০০৯ সালে স্থায়ীভাবে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলা শুরু করেন। তার সেরাটাও আসে এই সময়েই। 

ওয়ানডেতে জয়াসুরিয়া, কুমার সাঙ্গাকারা ও মাহেলা জয়াবর্ধনের পর শ্রীলঙ্কার চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে ১০ হাজার রানের মাইলফলক অতিক্রম করেন দিলশান। 

সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তিনি কার্যকর একজন বোলারও। অফ স্পিনে এ পর্যন্ত ৪৪.৮৪ গড়ে নিয়েছেন ১০৬ উইকেট। ২০১৩ সালে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানান দিলশান। ৮৭ টেস্টে তার রান ৫ হাজার ৪৯২, অফ স্পিনে নেন ৩৯ উইকেট। 

গত ছয় বছর ধরে টি-টোয়েন্টির অন্যতম সেরা ক্রিকেটার ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। ২০০৯ সালের বিশ্বকাপে দিলশান ছিলেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। এই সংস্করণে গত বিশ্বকাপেও তিনি ছিলেন দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ৩৯ বছর বয়সেও তিনি দলের অন্যতম সেরা ফিল্ডার। 

তিন ধরনের ক্রিকেটে যে অল্প কয়েকজন ব্যাটসম্যানের শতক আছে তাদের একজন দিলশান। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তার একমাত্র শতকটি আসে ২০১১ সালে পালেকেল্লেতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। এই ধরনের ক্রিকেটে তার চেয়ে বেশি রান আছে কেবল নিউ জিল্যান্ডের ব্রেন্ডন ম্যাককালামের।  

দিলশান ২০১০ সালের মে থেকে ২০১২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ছিলেন শ্রীলঙ্কার নেতৃত্বে।