বাংলাদেশ সফরে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ ইংল্যান্ড অধিনায়কের

ঢাকার গুলশানের একটি ক্যাফেতে সন্ত্রাসী হামলার পর বাংলাদেশ সফর নিয়ে নতুন করে ভাবার কথা জানিয়েছিল ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। এবার দেশটির ওয়ানডে অধিনায়ক ওয়েন মর্গ্যান সফরে দলের নিরাপত্তা নিয়ে তার উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 July 2016, 05:21 PM
Updated : 31 July 2016, 07:17 PM

পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে আসার কথা ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের। তবে শুক্রবার রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলায় দুই পুলিশ সদস্য ও ১৭ জন বিদেশি নাগরিকসহ কমপক্ষে ২২ জনের মৃত্যুর পর শনিবার ইসিবি জানায়, আগামী কয়েক সপ্তাহ বাংলাদেশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে তারা। আর বাংলাদেশ সফর নিয়ে শুনবে সরকারের পরামর্শ।

মর্গ্যান বলেন, “আমি মনে করি এই মুহূর্তে বড় শঙ্কা রয়েছে। আমরা সবসময়ই বড় সিদ্ধান্তগুলো ইসিবির হাতে ছেড়ে দিয়েছি। তারা প্রতিবেদন লিখে, কাউকে পরিস্থিতি দেখতে পাঠায় তা নিরাপদ কিনা এবং এরপর খেলোয়াড়রা এ নিয়ে সন্তুষ্ট বা অসন্তুষ্ট কিনা দেখে। কিন্তু এ মুহূর্তে এটা বড় শঙ্কার বিষয়।”

সফরটি বাংলাদেশের বাইরে নিরপেক্ষ কোনো ভেন্যুতে সরিয়ে নেওয়ার প্রসঙ্গ উঠলে ইংল্যান্ডের সীমিত ওভারের ক্রিকেটের অধিনায়ক বলেন, “আমি মনে করি, এটা সম্ভব হতে পারে।”

গত রোববার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নাজমুল হাসান ইংল্যান্ডের বাংলাদেশ সফর পরিকল্পনা অনুযায়ীই হবে বল আশার কথা জানান।

“ইংল্যান্ড যে রিঅ্যাকশন দিয়েছে, সেটা আমি দেখেছি। তাদের এই রিঅ্যাকশন স্বাভাবিক। আমরা যদি ওদের জায়গায় থাকতাম, একই জিনিস করতাম।”

দুটি যুক্তিতে ইংল্যান্ড সিরিজ নিয়ে এখনও ভরসা পাচ্ছেন বলে জানিয়েছিলেন বিসিবি প্রধান।

“এখানে খুব গুরুত্বপূর্ণ দুটি ইস্যু আছে। আপনারা খেয়াল করবেন প্যারিসে যে আক্রমণ হয়েছে তারপর কিন্তু ওখানে খেলা বন্ধ হয়ে যায়নি। খেলা তার নিজস্ব গতিতেই চলবে আমি বিশ্বাস করি। এছাড়া ইংল্যান্ড সিরিজ হতে এখনো তিন মাস বাকি। এই লম্বা সময়ে বাংলাদেশের এই পরিস্থিতি থাকবে না।”

ইংল্যান্ড দলকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার আশ্বাসও দেন বোর্ড প্রধান। তবে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর শুরু হতে যাওয়া সফরের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথ অফিস (এফসিও) এবং নিজেদের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ঘনিষ্টভাবে কাজ করবে বলে জানায় ইসিবি।

“আমরা আসছে সপ্তাহগুলোতে বাংলাদেশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন ও মূল্যায়ন করব। সফরের আগে ইংল্যান্ড দলের নিরাপত্তা পরিকল্পনার পুঙ্খানুপুঙ্খ ও ব্যাপক নিরীক্ষা করা হবে।”