দল নিয়ে আলোচনায় আপত্তি নেই নান্নুর

নির্বাচক প্যানেলের গঠন করা দল নিয়ে পরের স্তর নির্বাচক কমিটিতে আলোচনায় আপত্তি নেই মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর। নতুন প্রধান নির্বাচক আশাবাদী তারা যে প্রক্রিয়ায় কাজ করে যাচ্ছিলেন তার ধারা অব্যাহত থাকবে। 

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 June 2016, 01:17 PM
Updated : 22 June 2016, 01:30 PM

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নির্বাচন প্রক্রিয়া দুই স্তরে নেওয়ায় প্রতিবাদে পদত্যাগ করার কথা জানিয়েছিলেন ফারুক। বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে তার জায়গায় আরেক সাবেক অধিনায়ক মিনহাজুলকে প্রধান নির্বাচক করার ঘোষণা দেন বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান। 
 
মিনহাজুল জানান, দেশের ক্রিকেটকে আরও উপরের দিকে নিতে তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
 
“খুব ভালো লাগছে। কারণ, পাঁচ বছর ধরে কাজ করছি, আমি আর হাবিবুল বাশার সুমন। আমাদের এ দায়িত্ব দেওয়ায় বিসিবিকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”
 
তিন সদস্যের নির্বাচক প্যানেলে মিনহাজুল, বাশারের সঙ্গী সাজ্জাদ আহমেদ শিপন।
 
২০১১ সালের বিশ্বকাপের পর নির্বাচক হন মিনহাজুল ও বাশার। সেই বছর জুন থেকে কাজ শুরুর সময়ে প্রধান নির্বাচক ছিলেন আকরাম খান। পরে তিনি পদত্যাগ করলে নতুন প্রধান নির্বাচক হন ফারুক। 
 
নতুন নির্বাচন প্রক্রিয়ায় স্বাধীনতা কমবে বলে মনে করছেন না মিনহাজুল। 
 
“আমরা আগে যেভাবে কাজ করে যাচ্ছিলাম সে প্রক্রিয়াতেই করে যাব। এত যদি হস্তক্ষেপ হত তাহলে কি পাঁচ বছর আমরা কাজ করতে পারতাম? আমার মনে হয়, এসব চিন্তা না করে আগামীতে বাংলাদেশ দলকে আরও কিভাবে এগিয়ে নেওয়া যায় সেটাতে দৃষ্টি দেওয়া উচিত।”
 
মিনহাজুল মনে করেন, নির্বাচক প্যানেলে দল গঠনের পর আলোচনার জায়গা থাকেই।
 
“দল হবার পর কোচের চাওয়া থাকে, অধিনায়কের চাওয়া থাকে। ওই হিসাবে আমরা বেস্ট পসিবল দল দাঁড় করানোর চেষ্টা করি। সুতরাং ওই জায়গায় আমাদের আলোচনা হয়ই। আমার মনে হয়, এতে কোন ভুল বোঝাবুঝির কোনো কারণ নেই।”
 
নির্বাচন প্রক্রিয়া দুই স্তরে যাওয়াতেও খুব একটা পার্থক্য দেখছেন না সাবেক এই অধিনায়ক।
 
“নিয়মটাতো অনেকটা আগের মতই। আগেও আমরা দল তৈরি করে চেয়ারম্যানের কাছে সাইন করাতাম। তারপর প্রেসিডেন্ট। ক্রিকেট অপসের চেয়ারম্যান কিন্তু সবসময়ই উপরে। যেহেতু তাদের আন্ডারেই আমাদের টিম, যখন রেডি করে দেই তখন তাদের সাইন নেই।”