নির্বাচক কমিটিতে কোচ ও ম্যানেজারের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে মাস খানেক আগে থেকে শুরু হয় গুঞ্জন। গত ৩০ মে বিসিবি প্রধান জানান, নির্বাচক কমিটিতে কোচকে রাখা হচ্ছে, ম্যানেজার নন। সেই কথা ধরে রাখতে পারেননি বিসিবি প্রধান। গত ৫ জুন বিসিবিতে সংবাদ সম্মেলনে জানান, কোচ-ম্যানেজারকে রেখেই দুই স্তরের নির্বাচক কমিটি গড়া হচ্ছে। সেটির আনুষ্ঠানিক অনুমোদন হলো রোববারের বোর্ড সভায়।
সভা শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নতুন নির্বাচক কমিটি ও তাদের কাজের ধরন জানালেন বিসিবি প্রধান।
“ছয় সদস্যের নির্বাচক কমিটি, ওখানে তিন জনের সিলেকশন প্যানেল থাকছে। একজন থাকবেন প্রধান। উনাদের দায়িত্ব হচ্ছে সব খেলোয়াড় নির্বাচন করা। সারা বাংলাদেশ থেকে কারা কারা আসবে সেটা উনারা ঠিক করবে।”
“এর পর যে কোনো সিরিজ শুরু হওয়ার আগে আমাদের অপরারেশন্স চেয়ারম্যান একটা মিটিং কল করবেন। নির্বাচক কমিটির আহবায়ক তিনি। ওখানে কোচও থাকবে, ম্যানেজারও থাকবে। কোচ তার স্ট্র্যাটেজিক কোনো পরিকল্পনা যদি থাকে; যেমন এই সিরিজের জন্যে এই ধরনের খেলোয়াড় লাগবে, সেসব জানাবে। ম্যানেজার যদি কোনো ইনপুট দিতে চায় দিবে।”
দুই স্তরের নির্বাচক কমিটি ও সেখানে ম্যানেজারের অন্তর্ভুক্তি ক্রিকেট ইতিহাসেই বিরল। বিশেষ করে যার দায়িত্ব শৃঙ্খলা ও লজিস্টিকসের মতো ব্যাপার দেখা, সেই ম্যানেজারকে নির্বাচক কমিটিতে রাখা নিয়ে দেশের ক্রিকেট আঙিনায় গত কিছু দিন ধরেই চলছে তুমুল সমালোচনা। অনেকেরই ধারণা, খালেদ মাহমুদকে জায়গা দিতেই জন্ম দেওয়া হয়েছে নতুন এই ধারণার।
ম্যানেজারের ভূমিকা নিয়ে নাজমুল হাসান জানালেন পুরোনো কথাই।
“খেলোয়াড়দের কোনো ইনপুট থাকলে সেটা ম্যানেজার জেনে নিয়ে নির্বাচক কমিটিতে জানাবে। সব সময় যে কোচ ও ম্যানেজারের চাহিদা থাকবে সেটাও নয়। থাকলে জানাবে। তারপর উনারা সবাই সই করে দল আমার কাছে পাঠাবে।”