জনসনকে প্রশংসায় ভাসালেন স্টেইন

একই দিনে ক্রিকেট বিশ্বের দুই প্রান্তে বড় দুটি মাইলফলক ছুঁয়েছেন ডেল স্টেইন ও মিচেল জনসন। ক্যারিয়ারের ৪০০তম টেস্ট উইকেট ছুঁয়েছেন স্টেইন মিরপুরে। অস্ট্রেলিয়ার পেসার জনসন ৩০০ টেস্ট উইকেট পূর্ণ করেছেন এজবাস্টনে। মিরপুরে দিনের খেলা শেষে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বীকে প্রশংসার বন্যায় ভাসালেন স্টেইন।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 July 2015, 03:30 PM
Updated : 31 July 2015, 09:10 AM

৩৯৯ উইকেট নিয়ে মিরপুর টেস্ট শুরু করেছিলেন স্টেইন। এজবাস্টনে জনসন মাঠে নেমেছিলেন ২৯৯ উইকেট নিয়ে। দিনের তৃতীয় ওভারেই তামিম ইকবালকে ফিরিয়ে কাঙ্খিত মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেন স্টেইন। আর এজবাস্টনের দ্বিতীয় দিনে নিজের প্রথম ওভারেই খুনে এক শর্ট বলে জনি বেয়ারস্টোকে ফিরিয়ে ৩০০ ছুঁয়েছেন জনসন।

মিরপুরে দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে স্টেইনের মাইলফলক নিয়ে আলোচনায় উঠল জনসনের প্রসঙ্গও। এজবাস্টনে বেয়ারস্টোকে আউট করা জনসনের ওই বাউন্সারের রেশ থাকল মিরপুরে স্টেইনের কণ্ঠে।

“মিচ (মিচেল জনসন) ভয়ঙ্কর এক বোলার। ব্যাটসম্যানের মনে ভয় ঢুকিয়ে দেয় সে। লম্বা-পুরু গোঁফ, চওড়া কাধ, কঠিন চাহনি আর শর্ট বল, সব মিলিয়ে ভীষণ ভীতি জাগানিয়া এক বোলার। সে বাউন্সার ছুঁড়বে, ব্যাটসম্যানকে তাড়াহুড়ো করতে বাধ্য করবে, স্টাম্প উপড়ে ফেলবে। এর মতো একজন বোলার দলে থাকা সবসময়ই দারুণ। সত্যিকারের কার্যকর অস্ত্র।”

স্টেইনের মতে, ব্যাটসম্যানদের মনে আর প্রতিপক্ষ শিবিরে ভয় ঢুকিয়ে দিতে পারাই জনসনের সবচেয়ে বড় শক্তি।

“মিচ কখনোই লাইন-লেংথ নিয়ে ভাবে না। গ্লেন ম্যাকগ্রার মতো একই জায়গায় সারাদিন বোলিং করে যাবে না। অধিনায়ক তার কাছে সেটা চায়ও না। সে যত জোরে সম্ভব বল করবে, ভয় জাগাবে, ভুল করতে বাধ্য করবে। এটাই ওর শক্তির জায়গা।”

এই প্রসঙ্গে জনসনদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ডকে একটু খোঁচাও দিয়ে রাখলেন স্টেইন।

“এমন ভীতি জাগানিয়া বোলিং করে বলেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মিচ এত সফল। আর এই কারণেই ওরা মিচকে পছন্দ করে না। এমনকি মিচ যখন ভালো বোলিং করছে না, তখনও তার মুখোমুখি হতে ভয় লাগে। কারণ সে তখনও উইকেট নিতে পারে।”