রোববার তার সাক্ষ্য নিয়ে ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের বিচারক সাইদ আহম্মেদ আগামী ১৪ জুলাই জব্দ তালিকার সাক্ষী জাকির হোসেনের সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ঠিক করেন।
জাকির হোসেন মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের চতুর্থ সাক্ষী। গত ২৭ মে রাজীবের বাবা ডা. নাজিম উদ্দিন এবং পরে খালাত ভাই গালিব ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
রোববার চার ঘণ্টা ধরে মতুর্জা হায়দারকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
ঘটনার আগের দিন আসামিদের নিহত রাজীবের বাসায় ঢোকা, জব্দ করা আলামত, গোয়েন্দা কার্যালয়ে হাজির হয়ে আসামিদের সনাক্ত করার বিষয়ে সাক্ষীকে জেরা করেন তারা।
আদালতে হত্যায় ব্যবহৃত দুটি চাপাতি, নিহতের মানিব্যাগ, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন আদালতে উপস্থাপন করা হয়।
এর আগের তারিখে চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে রাজীবকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেছেন বলে ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন মুর্তজা।
এদিন মামলার আসামি আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের প্রধান মুফতি জসীম উদ্দিন রাহমানীসহ গ্রেপ্তার সাতজনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
অন্য আসামিরা হলেন- নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশনস বিভাগের বহিষ্কৃত ছাত্র সাদমান ইয়াছির মাহমুদ, ফয়সাল বিন নাঈম দীপ, এহসান রেজা রুম্মান, মাকসুদুল হাসান অনিক, নাঈম ইরাদ, নাফিজ ইমতিয়াজ।
মামলার আসামি রেদোয়ানুল আজাদ রানা। এদের মধ্যে রানা পলাতক।
২০১৩ সালে শাহবাগ আন্দোলন শুরুর দশম দিনে ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পল্লবীতে নিজের বাসার সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হয় রাজীবকে। ধর্মীয় উগ্রবাদীরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে পুলিশের তদন্তে উঠে আসে।
গত বছরের ২৮ জানুয়ারি এই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক নিবারণ চন্দ্র বর্মন।
গত ১৮ মার্চ অভিযোগ গঠনের মধ্যে মামলার বিচার শুরু হয়। পরে দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য মে মাসে মামলাটি দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।