শনিবার গণভবনে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়, কোচ ও ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
এসময় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাম্প্রতিক সাফল্যের কারণে খেলোয়াড়, কোচ ও কর্মকর্তাদের হাতে ৮ কোটি ২৩ লাখ ৫৯ হাজার টাকার পুরস্কারের চেক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, “আমি আগেই ঘোষণা দিয়েছিলাম যে, একদিন বাংলাদেশ বিশ্বকাপ জিতবে। আমি আশা করি যে সেটা আমরা পারব।
“আমরা যে ভবিষ্যতে পারব তার কিছু নমুনা ইতোমধ্যেই আমরা পেলাম। বিশ্বকাপে যারা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সেইরকম দলকে হোয়াইট ওয়াশ করে দেওয়া বা তাদেরকে একেবারে নাস্তানাবুদ করে ছেড়ে দেওয়া-এটা কিন্তু খুব বড় একটা বিষয়।”
“আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম যে, বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হবে ২০২১ সালের মধ্যে। এটাও বলেছিলাম যে আমরা তার আগেই হয়ে যাব। এখন যদিও ঘোষণা দেওয়া হয়ে গেছে যে, আমরা নিম্ন মধ্য আয়ের। বাংলাদেশ উচ্চ আসনেই যাবে এতে কোনও সন্দেহ নেই।”
বাংলাদেশকে এখন আর কেউ দরিদ্র দেশ বলে অবহেলা করতে পারবে না মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, “হয়তো আর বছর দুই/তিনেকের মধ্যেই বাংলাদেশ তার অবস্থানটা আরও উন্নত করতে পারবে ইনশাল্লাহ।”
দেশের মান-মর্যাদা যেন অক্ষুণ্ন থাকে সেভাবেই খেলাধুলা করার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস নিয়ে চলার জন্যও পরামর্শ দেন তিনি।
“আমরা যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করেছি। কাজেই আমাদেরকে কেউ হারাতে পারবে না। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। বিশ্বসভায় আমরা মাথা উঁচু করে চলব, মাথা নিচু করে নয়।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ক্রিকেট আমাদের যে মর্যাদা এনে দিয়েছে তাতে সত্যিই আমি গর্বিত। সব সময় দোয়া করি, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। এরজন্য যা যা করা দরকার আমরা করছি।”
পদ্মা সেতুর আশপাশেই অলিম্পিক কমপ্লেক্সসহ আধুনিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম এবং কক্সবাজারে আধুনিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম গড়ে তোলার কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা ও ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন ক্রিকেটারদের অটোগ্রাফ সম্বলিত একটি ব্যাট প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেন।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ইফতার
ক্রিকেটারদের সংবর্ধনার পর গণভবনে ক্রিকেটার, বিচারপতি, কূটনীতিক ও সরকারি কর্মকর্তা (সামরিক/বেসমারিক) এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইফতার করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ইফতারের বেশ কিছুক্ষণ আগে অনুষ্ঠানস্থলে এসে বিভিন্ন টেবিলে ঘুরে ঘুরে আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি। এরপর দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ, মন্ত্রিসভার সদস্যরা, তিন বাহিনীর প্রধান, বিভিন্ন কূটনৈতিক মিশনের প্রতিনিধিরা ইফতারে অংশ নেন।