সাংসদপুত্র রনি ফের ২ দিনের রিমান্ডে

ঢাকায় গভীর রাতে গুলি চালিয়ে দুজনকে হত্যার ঘটনায় সাংসদপুত্র বখতিয়ার আলম রনিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও দুই দিনের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 June 2015, 06:50 AM
Updated : 30 June 2015, 07:06 AM

পুলিশের সাত দিনের হেফাজতের আবেদন শুনে ঢাকার মহানগর হাকিম আমিনুল হক মঙ্গলবার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রনিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এ নিয়ে তিন দফায় মোট দশ দিনের হেফাজতে পেল পুলিশ।  

এর আগে চার দিনের রিমান্ড শেষে গত রোববার রনিকে আদালতে হাজির করে নতুন করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই দীপক কুমার দাশ।

রনির অসুস্থতার কথা বলে তার আইনজীবী শুনানি করতে রাজি না হওয়ায় বিচারক ৩০ জুন শুনানির দিন ঠিক করে দেন।

সে অনুযায়ী মঙ্গলবার রিমান্ড শুনানিতে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতকে বলেন, “আসামি বার বার অসুস্থতার ভান করে। এ কারণে তাকে জিজ্ঞাসাবাদই করা যায়নি। আর তার ক্রেডিট কার্ড দিয়ে কত টাকা তোলা হয়েছে, এই টাকার উৎস কী তাও পরীক্ষা করা দরকার।”

নতুন করে রিমান্ডের বিরোধিতা করে রনির আইনজীবী কাজী নজিবুল্লাহ হিরু বলেন, “এ মামলার সব কিছুই জানা হয়ে গেছে। এখন আর রিমান্ডের যৌক্তিকতা নেই।”

১৩ এপ্রিল রাত পৌনে ২টার দিকে রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে একটি কালো রঙের প্রাডো গাড়ি থেকে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়লে অটোরিকশাচালক ইয়াকুব আলী ও রিকশাচালক আবদুল হাকিম নিহত হন।

এ ঘটনায় নিহত হাকিমের মা মনোয়ারা বেগম অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে ১৫ এপ্রিল রাতে রমনা থানায় একটি মামলা করেন। পরে মামলাটির তদন্তভার গোয়েন্দা পুলিশের হাতে আসে।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩১ মে মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পিনু খানের ছেলে রনি ও তার গাড়িচালক ইমরান ফকিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতের অনুমতি মেলার পর ৯ জুন রনিকে চার দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।

ওই রাতে মাতাল রনি যানজটে আটকা পড়ে গুলি ছুড়েছিলেন বলে তার গাড়িচালক ইমরান এবং ঘটনার সময় গাড়িতে থাকা রনির বন্ধু কামাল মাহমুদ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

এছাড়া ওই সময় গাড়িতে থাকা রনির আরেক বন্ধু টাইগার কামালও ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

৪২ বছর বয়সী রনির পিস্তলের গুলিতেই যে ওই জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে, তা পরীক্ষা করে পুলিশও নিশ্চিত হয়েছে।